বাংলাদেশে বিমানে ভ্রমণের সময় যাত্রীরা যে পরিমাণ জিনিসপত্র সাথে নিতে পারবেন তা নির্ধারণ করে ‘যাত্রী (অপর্যটক) ব্যাগেজ (আমদানি) বিধিমালা, ২০২৩’ যা ব্যাগেজ রুলস ২০২৩ নামেও পরিচিত । এই বিধিমালা ২০২৩ সালের ২১ মে কার্যকর হয়েছে।
আকাশ এবং জলপথে আগত যাত্রীর শুল্ক ও কর সুবিধা কেমন?
- ১২ বছর বা তার বেশি বয়সের যাত্রী:
- হাতব্যাগ, কেবিন ব্যাগ, বা অন্য: ৬৫ কেজি (শুল্ক ও কর ছাড়া)
- অতিরিক্ত: ৩৫ কেজি (শুল্ক ও কর ছাড়া)
- পরিধেয় বস্ত্র
- ব্যক্তিগত ব্যবহার্য সামগ্রী
- বই, সাময়িকী
- পড়াশুনার সামগ্রী
- ১২ বছরের কম বয়সের যাত্রী:
- কার্টন, ব্যাগ, বা ব্যবস্থায়: ৪০ কেজি (শুল্ক ও কর ছাড়া)
কত টাকা মূল্যের ব্যাগেজ শুল্কমুক্ত আমদানি করা যাবে?
একজন যাত্রী সর্বোচ্চ ৪০০ (চারশত) মার্কিন ডলার মূল্যের ব্যাগেজ আমদানি করতে পারবে। তবে বছরে ৩ বারের অধিক নহে।
বিদেশি সমুদ্রবন্দর হতে আগমনকারী কোন জাহাজের বাংলাদেশি নাবিক বা কর্মকর্তা সর্বোচ্চ ৩০০ (তিনশত) মার্কিন ডলার মূল্যের ব্যাগেজ (সাইন অফ করলে তিনি ২,০০০ মার্কিন ডলার সমমূল্যের ব্যাগেজ) সকল প্রকার শুল্ক ও কর পরিশোধ ব্যতিরেকে আমদানি করিতে পারিবেন।
বিদেশ থেকে কত গ্রাম স্বর্ণ শুল্কমু্ক্ত আনা যাবে?
একজন যাত্রী অনধিক ১০০ (একশত) গ্রাম ওজনের স্বর্ণালংকার অথবা ২০০ (দুইশত) গ্রাম ওজনের রৌপ্যের অলংকার [এক প্রকার অলংকার ১২ (বার) টির অধিক হইবে না] সকল প্রকার শুল্ক ও কর পরিশোধ ব্যতিরেকে আমদানি করতে পারবেন।
মৃত ব্যক্তির ক্ষেত্রে অব্যাহতি
এই বিধিমালায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো বাংলাদেশি নাগরিক বিদেশে মৃত্যুবরণ করিলে তাহার ব্যাগেজ সকল প্রকার শুল্ক ও কর প্রদান হইতে অব্যাহতি পাইবে।
গ্রীণ এবং রেড চ্যানেল ব্যবহার
কোনো যাত্রী শুল্ক ও কর আরোপযোগ্য পণ্য বহন না করিলে তিনি বিমানবন্দরের গ্রীণ চ্যানেল (যদি থাকে) ব্যবহার করতে পারবেন। গ্রীণ চ্যানেল অতিক্রমকারী সর্বোচ্চ ৫% (শতকরা পাঁচ ভাগ) যাত্রীর ব্যাগেজ দৈবচয়নের ভিত্তিতে কাস্টমস কর্মকর্তা কর্তৃক স্ক্যানিং ও পরীক্ষা করা যাবে। একজন যাত্রী ১ (এক) পঞ্জিকা বৎসরে মাত্র ১ (এক) বার unaccompanied baggage আনিতে পারিবেন।
যাত্রী অপর্যটক ব্যাগেজ বিধিমালা ২০২৩ বিস্তারিত দেখতে নিচের ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে যাত্রী অপর্যটক ব্যাগেজ বিধিমালা ২০২৩ টি ডাউনলোড করে নিন।