কত তারিখের ভিতর রিটার্ন দাখিল করতে হবে?

কামরুল হাসান নূর

Updated on:

when income tax return is submitted

আয়কর আইনের ধারা ২(২৩) এ করদিবস সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ করা আছে। এই করদিবস মানে হচ্ছে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। ব্যক্তিগত করদাতা, কোম্পানি বা বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসীদের জন্য করদিবস ভিন্ন। আজকের লেখায় করদিবস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

ব্যক্তিগত করদাতার করদিবস কবে?

আয়বর্ষ শেষ হওয়ার পরবর্তী ৩০শে নভেম্বর তারিখের ভিতর কোম্পানি ব্যতিত করদাতার জন্য কর রিটার্ন জমা দিতে হবে।

কোম্পানির করদিবস কবে?

কোম্পানির ক্ষেত্রে আয়বর্ষ সমান্তির পরবর্তী সপ্তম মাসের ১৫ (পনেরো) তম দিন অথবা যেইক্ষেত্রে উক্ত পনেরোতম দিন সেপ্টেম্বর মাসের ১৫ (পনেরো) তম।

নতুন করদাতার জন্য করদিবস কবে?

পূর্বে কখনোই রিটার্ন দাখিল করেন নাই এইরূপ স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতার ক্ষেত্রে আয়বর্ষ শেষ হইবার পরবর্তী ৩০ জুন তারিখ।

বিদেশ অবস্থানরত ব্যক্তি দেশে আসলে কিভাবে আয়কর রিটার্ন জমা দিবে?

বিদেশে অবস্থানরত কোনো স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতার ক্ষেত্রে, তার বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের দিন হইতে ৯০ (নববই) তম দিন, যদি উক্তরুপ ব্যক্তি-

(অ) উচ্চ শিক্ষার জন্য ছুটিতে অথবা চাকরির জন্য প্রেষণে বা লিয়েনে নিযুক্ত হইয়া বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থান করেন; বা

(আ) অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে বৈধ ভিসা এবং পারমিটধারী হয়ে বাংলাদেশে বাহিরে অবস্থান করেন;

করদিবস ছুটির দিন হলে করণীয়

সাধারণ করদাতা ও কোম্পানির করদিবস সরকারি ছুটির দিন হয়, তাহা হইলে উক্ত দিনের অব্যবহিত পরবতী কর্মদিবস।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দাখিল করা সম্ভব না হলে করদাতার করণীয়

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোন করদাতা রিটার্ন দাখিল করা সম্ভব না হলে করদাতা রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বাড়ানোর জন্য বিধি নির্ধারিত ফরমে উপযুক্ত কারণ উল্লেখপূর্বক কর কমিশনারের কাছে সময়ের আবেদন করতে পারবেন। সময় মঞ্জুর হলে বর্ধিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দাখিল করা যাবে। সময় মঞ্জুর হলে বর্ধিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দাখিল করা যাবে।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দাখিল না করা হলে উপ কর কমিশনার বিলম্ব সুদ আরোপ করেন। তাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দাখিল করা করদাতার জন্য সুবিধাজনক।

করদিবসের মধ্যে রিটার্ন দাখিলে ব্যর্থ হলে জরিমানা

যাদের আয়কর আইনের ধারা ১৬৬ অনুযায়ী আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক কিন্তু করদিবসের মধ্যে রিটার্ন দাখিল করতে পারে নাই তাদের কর নির্ধারণের সুত্র হবে:

প্রদেয় করের পরিমাণ = করের পরিমাণ X (১+.০৪ X মাসের সংখ্যা)

করের পরিমাণ = করের পরিমাণ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে কর অব্যাহতি প্রাপ্ত আয় মোট আয়ের অন্তর্ভুক্ত হবে এবং নিয়মিত হারে কর পরিগণনা করতে হবে।

মাসের সংখ্যা = করদিবস অতিক্রান্ত হবার পর মাসের সংখ্যা যাহা অনধিক ২৪ হবে এবং কোন মাসের ভগ্নাংশও ১ মাস হিসাবে পরিগণিত হবে।

Leave a Comment