রিটার্ন দাখিলের সময় আমরা একটা কথা প্রায় শুনি সার্বজনীন স্বনির্ধারনী পদ্ধতি বা 82BB তে রিটার্ন দাখিল। আজকে আলোচনা করবো এই সার্বজনীন পদ্ধতি কাকে বলে? বর্তমানে রিটার্ন দাখিলের জন্য দুটি পদ্ধতি প্রচলিত আছে- সাধারণ পদ্ধতি ও সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতি। আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর 82BB ধারার অধীনে রিটার্ন দাখিল করা হলে তা সার্বজনীন স্বনির্ধারনী পদ্ধতির আওতায় রিটার্ন দাখিলবলে গণ্য হবে। সার্বজনীন স্বনির্ধারনী পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে করদাতা তার নিজের আয় নিজে নিরুপণ করে প্রযোজ্য আয়কর পরিশোধ করেন। সার্বজনীন স্বনির্ধারনী পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিলের সাথে সাথে আয়কর বিভাগ করদাতাকে যে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র (Acknowledgement) প্রদান করা হয় তাই কর নির্ধারণী আদেশ (assessment order) বলে গণ্য করা হয়। তবে পরবর্তীদের উপকর কমিশনার রিটার্নটি ক্রটি বিচ্যুতি বিশ্লেষণ করেন এবং কোন ধরনের অসামঞ্জস্যতা পরিলক্ষিত হলে তা রিটার্নটি অডিটের জন্য নির্বাচিত করা হয়।
সার্বজনীন স্বনির্ধারনী পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিল করতে হলে কয়েকটি শর্ত পূরণ করতে হবে। যথা:
১. করদাতার ১২ ডিজিট টিআইএন (TIN) থাকতে হবে।
২. Tax Day (বর্তমান ট্যাক্স ডে ৩০শে নভেম্বর) বা উপকর কমিশনার কর্তৃক মঞ্জুরকৃত বর্ধিত সময়ের ভিতর সমুদয় আয়কর ও সারচার্জ পরিশোধ করে রিটার্ন জমা দিতে হবে।
নতুন আয়কর আইন ২০২৩ এ সার্বজনীন স্বনির্ধারনী পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিলের কোন বিধান রাখা হয়নি। তবে করদাতাগণ স্বনির্ধারনী পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন এবং এর জন্য আয়কর আইন ২০২৩ এর ধারা ১৮০ পরিপালন করতে হবে।