নতুন কিছু আবিষ্কার করা অত্যন্ত কঠিন, এবং সেই আবিষ্কারের সুরক্ষা নিশ্চিত করা আরও কঠিন। বাংলাদেশের পেটেন্ট আইন আপনার আবিষ্কারের সুরক্ষার জন্য পেটেন্টের ব্যবস্থা করে। কিন্তু এই সুরক্ষা কি চিরস্থায়ী?
পেটেন্টের একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে, যার পরে এটি জনসম্পত্তি হয়ে যায় এবং যে কেউ এটি ব্যবহার করতে পারে। এই ব্লগ পোস্টে, আমরা পেটেন্টের মেয়াদ সম্পর্কে আলোচনা করবো। আমরা বাংলাদেশের পেটেন্ট আইন অনুসারে পেটেন্টের মেয়াদ কতদিন এবং কীভাবে নবায়ন করা যায় তা স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করবো।
পেটেন্টের মেয়াদ
বাংলাদেশের পেটেন্ট আইন অনুসারে, পেটেন্টের মেয়াদ আবেদন বা অগ্রাধিকার তারিখ হতে ২০ বছর পর্যন্ত। পেটেন্টের ষষ্ঠ বছর থেকে নবায়ন ফি প্রযোজ্য। নবায়নের জন্য, পেটেন্টের ৫ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে নির্ধারিত ফি পরিশোধ করে আবেদন করতে হবে। সময়মত ফি পরিশোধ না করলে পেটেন্ট তামাদি হবে।
উদাহরণস্বরূপ:
- যদি আপনি ১ জানুয়ারী ২০২৩ তারিখে পেটেন্ট আবেদন করেন, তাহলে আপনার পেটেন্ট ৩১ ডিসেম্বর ২০৪২ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
- নবায়ন ফি ২০২৮ সালের ১ জানুয়ারী থেকে প্রযোজ্য হবে।
- নবায়নের জন্য আপনাকে ২০২৭ সালের ৩১ ডিসেম্বরের পূর্বে নির্ধারিত ফি পরিশোধ করে আবেদন করতে হবে।
কিভাবে পেটেন্ট নবায়ন করবেন?
পেটেন্টের মেয়াদকাল ও নবায়ন প্রক্রিয়া সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং সময়মত ফি পরিশোধ করে নবায়ন নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। পেটেন্ট নবায়ন সম্পর্কে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা জানা দারকার।
- পূর্ববর্তী বছরের ফি: নবায়নের জন্য পূর্ববর্তী বছরের বার্ষিক ফি পরিশোধ করতে হবে।
- বিলম্বের ক্ষেত্রে: বার্ষিক ফি প্রদানে বিলম্ব হলে বিলম্ব ফি পরিশোধ করে ৬ (ছয়) মাস পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করা সম্ভব।
- ফি পরিশোধ না করলে: উপরে উল্লেখিত বিধি অনুযায়ী ফি পরিশোধ না করা হলে পেটেন্ট তামাদি হবে।
- পুনরুদ্ধার: ফি পরিশোধের জন্য নির্ধারিত তারিখ হতে ১ (এক) বছরের মধ্যে যুক্তিসঙ্গত কারণ দর্শিয়ে পেটেন্ট পুনরুদ্ধারের আবেদন করা যাবে।
শেষ কথা
আমরা বাংলাদেশের পেটেন্ট আইন অনুসারে পেটেন্টের মেয়াদ এবং নবায়ন প্রক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনা করেছি। পেটেন্ট সম্পর্কে আরও কিছু জানার থাকলে আপনি বাংলাদেশ পেটেন্ট আইন, ২০২২ টি পড়তে পারেন অথবা পেটেন্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ একজন আইনজীবির পরামর্শ নিতে পারেন।