শিল্প প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারী বলতে বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এ বর্ণিত সংজ্ঞা প্রযোজ্য হবে।
“শ্রমিক” অর্থ শিক্ষাধীনসহ কোন ব্যক্তি, তাহার চাকুরীর শর্তাবলী প্রকাশ্য বা উহ্য যে ভাবেই থাকুক না কেন, যিনি কোন প্রতিষ্ঠানে বা শিল্পে সরাসরিভাবে বা কোন [ ঠিকাদার, যে নামেই অভিহিত হউক না কেন, এর] মাধ্যমে মজুরী বা অর্থের বিনিময়ে কোন দক্ষ, অদক্ষ, কায়িক, কারিগরী, ব্যবসা উন্নয়নমূলক অথবা কেরানীগিরির কাজ করার জন্য নিযুক্ত হন, কিন্তু প্রধানতঃ প্রশাসনিক [,তদারকি কর্মকর্তা] বা ব্যবস্থাপনামূলক কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবেন না। ২(৬৫)
উল্লেখ্য, উক্ত আইনের ধারা ১৩৯ এর অধীন কোন শিল্প সেক্টরের জন্য মজুরী বোর্ড কর্তৃক নিম্নতম মজুরীর হার সুপারিশ করা হলে এবং সুপারিশকৃত তফসিল উক্ত আইনের ধারা ১৪০-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে প্রজ্ঞাপন আকারে ঘোষিত হলে যে সকল শ্রমিককে উক্ত প্রজ্ঞাপনে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে/হবে (যেমন- গার্মেন্টস শিল্প সেক্টরের জন্য ২৫ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত এস, আর, ও নং ৩৪৫-আইন/২০১৮-এর তফসিল ‘ক’ এর গ্রেড-১ থেকে গ্রেড-৭ এবং তফসিল ‘খ’ এর গ্রেড-১ থেকে গ্রেড-৪ এ বর্ণিত) শুধুমাত্র তারাই উক্ত শিল্প সেক্টরের শ্রমিক-কর্মচারী হিসেবে গণ্য হবেন।
কোন শিল্প সেক্টরের জন্য মজুরী বোর্ড কর্তৃক এরূপ তফসিল প্রণীত না হয়ে থাকলে উক্ত সেক্টরের প্রতিনিধিত্বকারী রেজিস্টার্ড বাণিজ্য সংগঠন কর্তৃক আবেদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীর তালিকাটি প্রত্যায়িত হতে হবে। এক্ষেত্রে প্রতিনিধিত্বকারী বাণিজ্য সংগঠন কর্তৃক তালিকাটি ইতোপূর্বে যে সকল শিল্প সেক্টরের জন্য তফসিল ঘোষিত হয়েছে সেগুলোর সাথে সামঞ্জস্য পূর্ণ রয়েছে মমে নিশ্চিত হয়ে প্রত্যয়ন করবে।
গার্মেন্টস শিল্প সেক্টরের জন্য ২৫ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত এস, আর, ও নং ৩৪৫-আইন/২০১৮-এর তফসিলটিতে গার্মেন্টস শিল্পে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীর তালিকা দে্ওয়া হয়েছে। এস, আর, ও টি ডাউনলোড করতে নিচের ডাউনলোড লিংকে ক্লিক করুন।