উৎসে মূসক কর্তন বাংলাদেশের মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ব্যবস্থার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভ্যাট আইন অনুযায়ী কয়েকটি নির্ধারিত সত্তাসমূহ পণ্য বা সেবার পণ পরিশোধের সময় নির্ধারিত হারে উৎসে মূসক কর্তন করে থাকে। এই লেখায় উৎসে মূসক বলতে কী বোঝায়, কোন প্রতিষ্ঠানগুলো উৎসে মূসক কর্তন করতে হবে, এবং উৎসে মূসক কর্তনের কারণসমূহ উল্লেখ করা হলো।
উৎসে মূসক কি?
উৎসে মূসক হলো কোনো পণ্য বা সেবা ক্রয়ের সময়ই মূল্য সংযোজন কর কর্তন করে নেওয়া। অর্থাৎ, যখন কোনো প্রতিষ্ঠান অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে পণ্য বা সেবা কিনে, তখন সেই ক্রেতা প্রতিষ্ঠানই বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানকে মূসক পরিশোধের সময় একটি নির্দিষ্ট হারে মূসক কর্তন করে নেয়। পরবর্তীতে এই কর্তনকৃত মূসক সরকারের কাছে জমা দিতে হয়।
কোন প্রতিষ্ঠানগুলো উৎসে মূসক কর্তন করবে?
বাংলাদেশের মূল্য সংযোজন কর আইন অনুযায়ী, নিম্নলিখিত ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোকে উৎসে মূসক কর্তন করতে হয়:
(ক) সরকার বা উহার কোন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, বা দপ্তর, আধা-সরকারী বা স্বায়ত্তশাসিত কোন সংস্থা, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, পরিষদ বা অনুরুপ কোন সংস্থা
(খ) এনজিও বিষয়ক ব্যুরো বা সমাজ সেবা অধিদপ্তর কর্তৃক অনুমোদিত কোন বেসরকারী প্রতিষ্ঠান
(গ) ব্যাংক, বীমা কোম্পানী বা অনুরুপ আর্থিক প্রতিষ্ঠান
(ঘ) কোন মাধ্যমিক বা তদূর্ধ্ব পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
(ঙ) কোন লিমিটেড কোম্পানী
(চ) দশ কোটির অধিক বার্ষিক টার্নওভারযুক্ত কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান
*এসআরও নং ১৪৯আইন/২০২০/১১০-মূসক
* এসআরও নং ১৪৯আইন/২০২৪/২২৫-মূসক
কেন উৎসে মূসক কর্তন করা হয়?
- কর ফাঁকি রোধ: উৎসে মূসক কর্তনের মাধ্যমে কর ফাঁকি রোধ করা সম্ভব।
- কর আদায় সহজতর: এটি সরকারের জন্য কর আদায়কে সহজ করে।
- ব্যবস্থাপনার স্বচ্ছতা: ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের আর্থিক লেনদেনের রেকর্ড সঠিকভাবে রাখতে উৎসাহিত করে।
শেষকথা
উৎসে মূসক কর্তন করার পরও উক্ত কর্তনকৃত টাকা যথাযথ সময়ে জমা দিতে এবং উৎসে কর কর্তন সনদপত্র পণ্য বা সেবা সরবরাহকারীকে দিতে হবে। মূসক সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে আমাদের ভ্যাট সেকশনটি আপনি ঘুরে আসতে পারেন।