বিভিন্ন ধরনের লেটার অব ক্রেডিট

লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) এর শর্ত ও কার্যকারিতা অনুযায়ী কয়েক ধরনের হয়ে থাকে। যেমন:

১) রিভোকেবল: যেকোন সময় ক্রেতার মাধ্যমে বা ইস্যুয়িং ব্যাংকের মাধ্যমে পরিবর্তন করা যায়। এক্ষেত্রে বেনিফিশিয়ারিকে নোটিশ দেয়ার দরকার নেই।

২) ইরেভোকেবল: ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়পক্ষ একমত না হলে ইস্যুয়িং ব্যাংক লেটার অব ক্রেডিটের কোন পরিবর্তন করতে পারবে না।

৩) স্ট্যান্ডবাই: ব্যাংক এই মর্মে নিশ্চয়তা দেওয়া যে, ক্রেতা পণ্যের মূল্য পরিশোধ করতে সক্ষম এবং বিক্রেতাকে সে মূল্য পরিশোধ করবে।

৪) ট্রান্সফারেবল: একজন বেনিফিশিয়ারির কাছ থেকে অপর বেনিফিশিয়ারির কাছে হস্তান্তর করা যায়। এধরনের লেটার অব ক্রেডিট সাধারণতঃ মধ্যস্বত্ব ভোগী জড়িত থাকলে (ক্রয়-বিক্রয়ে) ব্যবহৃত হয়।

৫) কনফার্মড: যখন বিক্রেতার দেশের কোন ব্যাংক এলসি শর্তসমূহ সঠিকতা পরীক্ষা করে মূল্য পরিশোধের নিশ্চয়তা (Confirmation) প্রদান করে তখন সেই ব্যাংকে কনফার্মিং ব্যাংক বলে। এটি এডভাইজিং ব্যাংকও হতে পারে। মূল্য পরিশোধের নিশ্চয়তা প্রদানকৃত এলসিকে কনফার্মড এলসি বলে।

৬) আনকনফার্মডঃ একমাত্র ইস্যুয়িং ব্যাংকের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয় সেকেন্ড ব্যাংকের নিশ্চয়তার দরকার করা হয় না।

৭) রিভলভিং: যে এলসি এর মাধ্যমে ক্রেতা-বিক্রেতা দীর্ঘসময় ধরে একাধিকবার পন্য আদান-প্রদান করে থাকে। সাধারণত আমদানিকারক ও রপ্তানিকারক একই ধরনের পণ্য নির্দিষ্ট শর্তের ভিত্তিতে আমদানি-রপ্তানি করে থাকে, সেক্ষেত্রে প্রতিবার নতুন এলসি না করে, রিভলভিং এলসির মাধ্যমেই বার বার পন্য আমদানি-রপ্তানি করে থাকেন।

৮) ব্যাক টু ব্যাক: রপ্তানিকারকের অনুকূলে এলসি খোলার পর যখন পণ্য সরবরাহ করার মতো প্রয়োজনীয় মূলধন রপ্তানিকারকের থাকে না তখনই ব্যাক টু ব্যাক এলসি ইস্যু হয়ে থাকে। রপ্তানি এলসিটি সহায়ক জামানত হিসেবে রেখে এডভাইজিং ব্যাংকে বা তার দেশীয় কোন ব্যাংক পণ্যের মূল্য সরবরাহকারির অনুকূলে আর একটি এল সি খোলা হলে তাকে ব্যাক টু ব্যাক এল সি বলে। ব্যাক টু ব্যাক এল সি’র মাধ্যমে রপ্তানিকারক রপ্তানির উদ্দেশ্যে পণ্য ক্রয়, প্রক্রিয়াজাতকরণ, প্রস্তুতকরণ এবং প্যাকেজিং এর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের বন্দোবস্ত করে। প্রথম এল সি-র প্রায় সব শর্তাবলি অবিকল অবস্থায় দ্বিতীয় এল সি-তে অন্তর্ভূক্ত করা হয়।

৯) রেড ক্লজ: বিক্রেতার কাছ থেকে লিখিত অনুমোদন পাওয়ার পর পণ্য প্রেরণ করার পূর্বেই ক্রেতা বিক্রেতাকে অগ্রীম অর্থ প্রদান করে।

১০) ডাইরেক্ট পে: এই লেটার অব ক্রেডিটে ইস্যুয়িং ব্যাংক সরাসরি বিক্রেতা/রপ্তানিকারককে অর্থ পরিশোধ করে।

১১) ডিফারড পেমেন্ট: বিক্রেতার পণ্য চালান বা নথি ব্যাংকে উপস্থাপনের নির্দিষ্ট দিন পর অর্থ পরিশোধ করা হয়ে থাকে।

About The Author

Leave a Reply

× Contact Support!