উৎসে কর কর্তন বা সংগ্রহ মাসের শেষে পরবর্তী ২ (দুই) সপ্তাহের মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমাদান করতে হবে। তবে কর কর্তন বা সংগ্রহের সময়কাল জুন মাসের ১ থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত হলে কর কর্তন বা সংগ্রহের তারিখের পরবর্তী ৭দিনের মধ্যে এবং কর কর্তন বা সংগ্রহের সময়কাল জুন মাসের শেষ ১০দিনগুলোর জন্য কর কর্তন বা সংগ্রহের তারিখের পরবর্তী দিনে জমা দিতে হবে।

⭐️⭐️⭐️ আয়কর সম্পর্কিত সকল বিষয়ে জানতে এখানে ক্লিক করুন ⭐️⭐️⭐️

উৎসে কর সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার সময়সীমা – Deadline for depositing Withholding Tax

উৎসে কর্তিত/সংগৃহীত আয়কর সরকারি কোষাগারে জমার সময়সীমা। বিধি-৮ অনুযায়ী কর জমার সময়সীমা নিম্নরুপ:

কর্তন ও সংগ্রহের সময়সরকারী কোষাগারে জমাদানের তারিখ
জুলাই-মেকর কর্তন বা সংগ্রহ সংশ্লিষ্ট মাস শেষ হওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে
জুন মাসের প্রথম ২০ দিনকর কর্তন বা সংগ্রহের তারিখের পরবর্তী ৭ দিনের মধ্যে
জুন মাসের ২১ থেকে ৩০ তারিখ (শেষের দুই কর্মদিবস বাদে)কর কর্তন বা সংগ্রহের তারিখের পরবর্তী দিন

উৎসে কর্তনকৃত বা সংগৃহীত কর পরিশোধের পদ্ধতি

এই আইনের অংশ ৭ এর আওতাধীন কর কর্তন বা সংগ্রহের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি বিধি ৮ এ বর্ণিত নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উক্ত কর্তনকৃত অথবা সংগৃহীত কর এ-চালান বা বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ই-পেমেন্ট এর মাধ্যমে সরকারের অনুকূলে জমা প্রদান করতে হবে।

উৎসে কর কর্তন বা সংগ্রহের সাধারণ বিধান

ধারা ১১৯ এর ব্যতিক্রম সাপেক্ষে ও আইনের অংশ ৭ এ ভিন্নরুপ কোনো বিধান না থাকিলে, এই বিধিমালার অধীন কর কর্তন বা সংগ্রহের ক্ষেত্রে, যাহার নিকট হতে কর কর্তন বা সংগ্রহ করা হবে সেই ব্যক্তি রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ উপস্থাপন করিতে ব্যর্থ হলে উৎসে কর কর্তন বা সংগ্রহের হার প্রযোজ্য হার অপেক্ষা ৫০% (পঞ্চাশ শতাংশ) অধিক হবে।

ভিন্নরুপ কোনো বিধান না থাকিলে, এই আইনের অংশ ৭ এর অধীন কর কর্তন বা সংগ্রহের ক্ষেত্রে, যাহার নিকট হতে কর কর্তন বা সংগ্রহ করা হইবে সেই ব্যক্তি চুক্তিমূল্য, বিল, ভাড়া, ফি, চার্জ, রেমুনারেশন, বেতনাদি বা অন্য কোনো অর্থ পরিশোধ তাহা যে নামেই অভিহিত হউক না কেন, বাবদ কোনো অর্থ ব্যাংক ট্রা্সফারের মাধ্যমে গ্রহণ না করিলে উৎসে কর কর্তন বা সংগ্রহের হার প্রযোজ্য হার অপেক্ষা ৫০% (পঞ্চাশ শতাংশ) অধিক হবে।

উৎসে কর কর্তনে এবং জমাদানে ব্যর্থতায় জরিমানা

উৎসে কর কর্তনে এবং জমাদানে ব্যর্থ কর্তৃপক্ষকে খেলাপি করদাতা (Assessee Default) হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং নিম্নোক্ত জরিমানা দিতে হয়:

  • মাসিক ২% হারে অতিরিক্ত পরিমানসহ ব্যর্থ কর্তৃপক্ষের নিকট হতে আদায়
  • ব্যর্থ প্রতিষ্ঠানের কর নির্ধারনের সময় কর্তনযোগ্য/সংগ্রহযোগ্য কর সংশিষ্ট ব্যয় অনুমোদনযোগ্য খরচ (Allowable expense) হিসেবে বিবেচনা না করা অর্থাৎ কর্তনযোগ্য/সংগ্রহযোগ্য করের সাথে সংশিষ্ট ব্যয়কে উক্ত প্রতিষ্ঠানের করযোগ্য আয় হিসেবে গণ্য করা
  • প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অনধিক ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা আরোপ

শেষ কথা

যেহেতু উৎসে কর কর্তনে ও জমাদানে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জরিমানায় আওতায় পরতে হয় তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত যথাযথ নিয়মে উৎস কর্তন করে যথাসময়ে সংশ্লিষ্ট সরকারি কোডে সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করা। শুধু উৎসে কর্তনের টাকা জমা প্রদান করেই উৎস কর্তনকারীর দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। উক্ত প্রতিষ্ঠানকে নিয়মিত উৎসে কর্তন রিটার্নও জমা দিতে হয়। উৎসে কর্তন রিটার্ন দাখিল করার নিয়ম জানতে ও উৎসে কর্তন ফরম ডাউনলোড করতে এই লিংকে ক্লিক করুন

Show CommentsClose Comments

Leave a comment