SRO for Import Duty Deduction

বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কিছু নতুন এসআরও (Statutory Regulatory Orders) জারি করেছে। আসন্ন রমজান ও জনগণের জীবনযাত্রার ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে খেজুর, চিনি, চাল ও সয়াবিন তেল আমদানি শুল্ক কমানোর ঘোষণা করা হয়েছে।

১. চিনির আমদানি শুল্ক কমানো

এনবিআর এস.আর.ও. নং ২৫-আইন/২০২৪/০৭/কাস্টমস এর মাধ্যমে চিনির আমদানি শুল্ক কমানোর ঘোষণা দিয়েছে, যা ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশে চিনির দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

২. খেজুরের আমদানি শুল্ক কমানো

খেজুর আমদানিতে শুল্ক আরও কমানো হয়েছে। এস.আর.ও. নং ২৬-আইন/২০২৪/০৫/কাস্টমস এর নির্দেশনা অনুযায়ী এখন থেকে ২০২৪ সালের ৩০ মার্চ পর্যন্ত আমদানির সময় ২৫% এর পরিবর্তে ১৫% শুল্ক লাগবে। এতে করে খেজুরের দাম কিছুটা কমতে পারে।

৩. চাল আমদানিতে শুল্ক ও রেগুলেটরি ডিউটি কমানো

এনবিআর এস.আর.ও. নং ২৭-আইন/২০২৪/০৬/কাস্টমস এর মাধ্যমে ২০২৪ সালের ১৫ মে পর্যন্ত চাল আমদানিতে শুল্ক সম্পূর্ণ মকুব এবং রেগুলেটরি ডিউটি ২৫% থেকে কমিয়ে ৫% করা হয়েছে। এই পদক্ষেপের ফলে দেশে চালের দাম স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করবে।

৪. সয়াবিন ও পাম তেলের মূল্যবৃদ্ধি রোধে উদ্যোগ

এস.আর.ও. নং ২৮-আইন/২০২৪/২৩৯-মূসক এর মাধ্যমে এনবিআর ২০২৪ সালের ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সয়াবিন ও পাম তেল উৎপাদন ও বিক্রির ক্ষেত্রে ভ্যাট ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে। এতে করে এই দুই ধরনের তেলের দাম বাড়ার সম্ভাবনা কম।

৫. সয়াবিন ও পাম তেল আমদানিতে ভ্যাট কমানো

এস.আর.ও. নং ২৯-আইন/২০২৪/২৪০-মূসক এর মাধ্যমে সয়াবিন ও পাম তেল আমদানিতে ভ্যাট ১৫% থেকে কমিয়ে ১০% করা হয়েছে, যা ২০২৪ সালের ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। এই সিদ্ধান্তের ফলে এসব তেলের আমদানি সহজতর হবে এবং দাম কিছুটা কমতে পারে।

শেষকথা

প্রতিবছর পবিত্র রমজানে খেজুর, চিনি, চাল ও সয়াবিন তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পায়। তাই এই বছর এইসকল পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে আগে থেকেই উদ্যোগ নিয়েছে। এনবিআরের এই নতুন এসআরও গুলো জীবনযাত্রার ব্যয় কিছুটা কমিয়ে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

About The Author

Leave a Reply

× Contact Support!