lay off

“লে-অফ” অর্থ কয়লা, শক্তি বা কাঁচা মালের স্বল্পতা, অথবা মাল জমিয়া থাকা অথবা যন্ত্রপাতি বা কল-কব্জা বিকল বা ভাঙ্গিয়া যাওয়ার কারণে কোন শ্রমিককে কাজ দিতে মালিকের ব্যর্থতা, অস্বীকৃতি বা অক্ষমতা।[ধারা ২(৫৮)]

কখন প্রতিষ্ঠান লে-অফ কার্যকর হবে?

উপরোক্ত লে-অফ এর সংজ্ঞা অনুযায়ী অথবা বাংলাদেশ শ্রম আইনের ধারা ১২ এর উপধারা ৮ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানে লে-অফ কার্যকর হবে।

অগ্নিকান্ড, আকষ্মিক বিপত্তি, যন্ত্রপাতি বিকল, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ, মহামারী, ব্যাপক দাঙ্গা-হাঙ্গামা অথবা মালিকের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত অন্য কোন কারণে প্রয়োজন হইলে, কোন মালিক যে কোন সময় তাহার প্রতিষ্ঠানের কোন শাখা বা শাখাসমূহ আংশিক বা সম্পূর্ণ বন্ধ করিয়া দিতে পারিবেন এবং যে কারণে উক্তরূপ বন্ধের আদেশ দেওয়া হইবে তাহা বিদ্যমান থাকা পর্যন্ত এই বন্ধের আদেশ বহাল রাখিতে পারিবেন [ধারা ১২(১)] এবং যদি কাজ বন্ধের মেয়াদ তিন কর্ম দিবসের অধিক হয়, তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকগণকে ধারা ১৬ এর বিধান অনুযায়ী লে-অফ করা হইবে। [ধারা ১২(৮)]

লে-অফকৃত শ্রমিকগণের ক্ষতিপূরণের বিধান

লে-অফকৃত শ্রমিককে শ্রম আইনের ধারা ১৬ এর বিধানমোতাবেক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

যে ক্ষেত্রে বদলী বা সাময়িক শ্রমিক নহেন এরূপ কোন শ্রমিককে, যাহার নাম কোন প্রতিষ্ঠানের মাস্টার রোলে অন্তর্ভুক্ত আছে এবং যিনি মালিকের অধীন অন্ততঃ এক বত্সর চাকুরী সম্পূর্ণ করিয়াছেন, লে-অফ করা হয়, তাহা হইলে মালিক তাহাকে, সাপ্তাহিক ছুটির দিন ব্যতীত তাহার লে-অফের সকল দিনের জন্য ক্ষতিপূরণ প্রদান করিবেন৷ [ধারা ১৬(১)] যে বদলী শ্রমিকের নাম কোন প্রতিষ্ঠানের মাস্টার-রোলের অন্তর্ভুক্ত আছে, তিনি এই ধারার প্রয়োজনে বদলী বলিয়া গণ্য হইবেন না যদি তিনি উক্ত প্রতিষ্ঠানে অবিচ্ছিন্নভাবে এক বছর চাকুরী সম্পূর্র্র্ণ করিয়া থাকেন৷ [ধারা ১৬(৩)]

মালিক এবং শ্রমিকের মধ্যে ভিন্নরূপ কোন চুক্তি না থাকিলে, লে-অফকৃত শ্রমিকগণের ক্ষতিপূরণের পরিমাণ নিম্নরুপ-

লে-অফকৃত দিন ক্ষতিপূরণের পরিমাণ
কোন পঞ্জিকা বৎসরে লে-অফকৃত পয়তাল্লিশদিন শ্রমিকের মোট মূল মজুরী এবং মহার্ঘ ভাতা এবং এডহক বা অর্ন্তবর্তী মজুরী, যদি থাকে, এর অর্ধেক এবং এবং যদি আবাসিক ভাতা থাকে, তাহার সম্পূর্ণের সমান৷
কোন পঞ্জিকা বৎসরে লে-অফকৃত পয়তাল্লিশদিন পরবর্তী প্রত্যেক পনের বা তদূর্ধ্ব দিনসমূহ শ্রমিকের মোট মূল মজুরী এবং মহার্ঘ ভাতা এবং এডহক বা অন্তর্বর্তী মজুরী, যদি থাকে, এর এক-চতুর্থাংশ এবং যদি আবাসিক ভাতা থাকে, তাহার সম্পূর্ণের সমান৷

কোন ক্ষেত্রে যদি কোন শ্রমিককে কোন পঞ্জিকা বৎসরে উপরে উল্লিখিত প্রথম পঁয়তাল্লিশ দিন লে-অফের পর কোন অবিচ্ছিন্ন পনের দিন বা তদূর্ধ্ব সময়ের জন্যে লে-অফ করিতে হয়, তাহা হইলে মালিক উক্ত শ্রমিককে লে-অফের পরিবর্তে ধারা ২০ এর অধীন ছাঁটাই করিতে পারিবেন৷ [ধারা ১৬(৭)]

লে-অফকৃত শ্রমিকের ছাটাইয়ের বিধান

বাংলাদেশ শ্রম আইনের ধারা ১৬(৭) এর অধীন লে-অফকৃত শ্রমিকের ছাঁটাইয়ের ক্ষেত্রে কোন নোটিশের প্রয়োজন হইবে না, তবে ছাঁটাইকৃত শ্রমিককে ক্ষতিপূরণ বাবদ তাহার প্রত্যেক বৎসর চাকুরীর জন্য ত্রিশ দিনের মজুরী বা গ্রাচ্যুইটি যদি প্রদেয় হয়, যাহা অধিক হইবে, প্রদান করিতে হইবে এবং প্রদেয় ক্ষতিপূরণ বা গ্রাচ্যুইটির অতিরিক্ত হিসাবে আরোও পনের দিনের মজুরী দিতে হইবে। [ধারা ২০(৩)]

About The Author

Leave a Reply

× Contact Support!