Assesable Value Calculation in Bangladesh

একটি পণ্য বিদেশ থেকে আমদানী করার সময়, পণ্যের মূল্যের সাথে আরও কতগুলো খরচ যুক্ত থাকে। যেমন-FOB (Free on board) value, Freight Cost, Insurance Cost, Landing Charge ইত্যাদি। আমদানিকৃত পন্যের শুল্কায়নযোগ্য মুল্য (Assessable Value) বের করার পদ্ধতিটা একটু জটিল। আজকের লেখায় যা সহজভাবে উপস্থাপন করা হলো-

আমদানীকৃত পণ্যের লেটার অব ক্রেডিটে পন্য আমদানীর শর্ত উল্লেখ থাকে। যদি লেটার অব ক্রেডিটে FOB (Free on board) লেখা থাকে, তার মানে এটি পন্য উৎপাদনকারী দেশে পন্য জাহাজে/যানে ওঠানোর আগ মূহুর্ত পর্যন্ত মূল্য যা রপ্তানিকারক পরিশোধ করে থাকে। পণ্যটি জাহাজ/যানে ওঠানোর পরে Freight Cost, Insurance Cost আমদানিকারক বহন করে। আর কোন লেটার অব ক্রেডিটে Cost, Insurance and Freight (CIF) লেখা থাকলে, পণ্যটি আমদানীকারকে নিকট পৌছানো বা আমদানিকারকের নিকটবর্তী বন্দর পৌছানোর পূর্ব পর্যন্ত সকল ধরনের খরচ রপ্তানিকারক বহন করে থাকে। এখন আমরা আলোচনা করবো শুল্কায়নযোগ্য মুল্য (Assessable Value) এর বিভিন্ন খরচগুলো কিভাবে হিসাব করা হয়।

যদি Freight Memo বা প্রকৃত ফ্রেইট জানা না থাকে Cost X 20% freight( ধরা হয় শুল্ক মূল্যায়ন বিধিমালা ২০০০ অনুযায়ী)। তাহলে Cost & Freight বা C&F Value পাওয়া গেল।

Cost, Insurance and Freight (CIF) ‍মূল্য বের করার সুত্র হচ্ছে, C&F Value+1% Insurance (যদি ইন্সুরেন্স কাভার নোটে প্রদত্ত ইন্সুরেন্স খরচ/মূল্য বা ইন্সুরেন্স এর প্রকৃত পরিমাণ জানা না থাকে সেক্ষেত্রে ১% ইন্সুরেন্স , যদি ইন্সুরেন্স কাভার নোট পেয়ে যান বা কাভার নোট থাকে সেক্ষেত্রে ইন্সুরেন্স কাভার নোটে প্রদত্ত সর্বমোট টাকার পরিমান নিতে হবে)।

শুল্কায়নযোগ্য মুল্য (Assessable Value)= CIF Value + 1% Landing Charge (আমাদের দেশে বন্দরে পন্য উঠানামা,লেবার চার্জ, হ্যান্ডিলিং চার্জ সব মিলে ১% ল্যান্ডিং চার্জ ধরা হয়)।

শুল্কায়নযোগ্য মুল্য (Assessable Value) বের করার নিয়ম:

যদি কোন পন্যের ক্ষেত্রে Invoice এ C&F মূল্য থাকে সেই ক্ষেত্রে C&F X 1 % ইন্সুরেন্স (ইন্সুরেন্স কাভার নোটের ভ্যালু) যোগ করলে CIF VALUE পাওয়া যাবে। অতপর CIF Value সাথে ১% ল্যান্ডিং চার্জ যোগ করলে শুল্কায়নযোগ্য মুল্য (Assessable Value) পেয়ে যাবেন।

আবার, কোন পন্যের ক্ষেত্রে যদি Invoice এ CIF Value থাকে সেই ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ১% ল্যান্ডিং চার্জ যোগ করলেই শুল্কায়নযোগ্য মুল্য (Assessable Value) পাওয়া যায়।

ট্যারিফ মূল্যের চেয়ে ঘোষিত মূল্য (CIF) বেশী হলে ঘোষিত মূল্যের সাথে ১% ল্যান্ডিং চার্জ যোগ করে শুল্কায়ন মূল্য বাহির করে সেভাবে শুল্কায়ন করতে হবে।

যেক্ষেত্রে Minimum Value নির্ধারিত আছে সে ক্ষেত্রে ঘোষিত মূল্য Minimum Value কম হলে, মিনিমাম মূল্যে শুল্কায়ন হবে, সেক্ষেত্রে মিনিমাম মূল্যের সাথে ১% ল্যান্ডিং চার্জ যোগ করলেই শুল্কায়নযোগ্য মুল্য (Assessable Value) পাওয়া যাবে। মিনিমাম মূল্যের চেয়ে ঘোষিত মূল্য বেশী হলে ঘোষিত মূল্যে শুল্কায়ন করতে হবে।

শুল্কায়নযোগ্য মুল্য (Assessable Value) পাওয়া গেলে এই শুল্কায়নযোগ্য মুল্যের উপর বিভিন্ন ধরণের শুল্ককর আরোপ করা হয়। কিভাবে শুল্ককর নির্ণয় করতে হয় জানতে আমাদের পূর্ববর্তী এই লেখাটি পড়ুন

About The Author

Leave a Reply

× Contact Support!