অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ ২০২৫ সালের জন্য সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন করেছে। আগামী বছর বাংলাদেশে সাধারণ ছুটি ও নির্বাহী আদেশে ঘোষিত ছুটি মিলিয়ে মোট ২৬ দিন ছুটি থাকবে। এই তালিকা অনুযায়ী, আগামী বছরে বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব, জাতীয় দিবস এবং বিশেষ দিনগুলিতে সরকারি অফিস বন্ধ থাকবে।
সাধারণ ছুটি
- ২১ ফেব্রুয়ারি: শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
- ২৬ মার্চ: স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস
- ২৮ মার্চ: জুমাতুল বিদা
- ৩১ মার্চ: ঈদুল ফিতর
- ১ মে: মে দিবস
- ২১ মে: বুদ্ধপূর্ণিমা (বৈশাখী পূর্ণিমা)
- ৭ জুন: ঈদুল আজহা
- ১৬ আগস্ট: জন্মাষ্টমী
- ৫ সেপ্টেম্বর: ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)
- ২ অক্টোবর: দুর্গাপূজা (বিজয়া দশমী)
- ১৬ ডিসেম্বর: বিজয় দিবস
- ২৫ ডিসেম্বর: যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন (বড়দিন)
নির্বাহী আদেশে ছুটি
- ১৫ ফেব্রুয়ারি: শবে বরাত
- ২৮ মার্চ: শবে কদর
- ২৯ ও ৩০ মার্চ এবং ১ ও ২ এপ্রিল: ঈদুল ফিতরের আগে ও পরে দুই দিন
- ১৪ এপ্রিল: বাংলা নববর্ষ
- ৫ ও ৬ জুন এবং ৮ থেকে ১০ জুন: ঈদুল আজহার আগে ও পরে
- ৬ জুলাই: আশুরা
- ১ অক্টোবর: দুর্গাপূজার মহানবমী
ঐচ্ছিক ছুটি
মুসলিম পর্ব:
- ২৮ ফেব্রুয়ারি: শবে মেরাজ *
- ৩ এপ্রিল: ঈদুল ফিতরের পরের তৃতীয় দিন *
- ১১ জুন: ঈদুল আজহার পরের চতুর্থ দিন *
- ২০ সেপ্টেম্বর: আখেরি চাহার সোম্বা *
- ৪ অক্টোবর: ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম *
* চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল
হিন্দু পর্ব:
- ৩ ফেব্রুয়ারি: সরস্বতী পূজা
- ২৬ ফেব্রুয়ারি: শিবরাত্রী ব্রত
- ১৪ মার্চ: দোলযাত্রা
- ২৭ মার্চ: হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব
- ২১ সেপ্টেম্বর: মহালয়া
- ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর: দুর্গাপূজা (সপ্তমী ও অষ্টমী)
- ৬ অক্টোবর: লক্ষ্মীপূজা
- ৩১ অক্টোবর: শ্যামাপূজা
খ্রিস্টান পর্ব:
- ১ জানুয়ারি: ইংরেজি নববর্ষ
- ৫ মার্চ: ভস্ম বুধবার
- ১৭ এপ্রিল: পূণ্য বৃহস্পতিবার
- ১৮ এপ্রিল: পূণ্য শুক্রবার
- ১৯ এপ্রিল: পূণ্য শনিবার
- ২০ এপ্রিল: ইস্টার সানডে
- ২৪ ও ২৬ ডিসেম্বর: যিশু খ্রিস্টের জন্মোৎসব (বড়দিনের আগে ও পরের দিন)
বৌদ্ধ পর্ব:
- ১১ ফেব্রুয়ারি: মাঘী পূর্ণিমা *
- ১৩ এপ্রিল: চৈত্র সংক্রান্তি
- ১০ ও ১২ মে: বুদ্ধ পূর্ণিমা (আগের ও পরের দিন)
- ৯ জুলাই: আষাঢ়ী পূর্ণিমা *
- ৬ সেপ্টেম্বর: মধু পূর্ণিমা *
- ৫ অক্টোবর: প্রবারণা পূর্ণিমা (আশ্বিনী পূর্ণিমা) *
* চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী:
- ১২ ও ১৫ এপ্রিল: বৈসাবি ও পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলোর অনুরূপ সামাজিক উৎসব
একজন কর্মচারীকে তার নিজ ধর্ম অনুযায়ী বছরে সর্বোচ্চ তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি নেওয়ার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। প্রতিটি কর্মচারীকে বছরের শুরুতে এই তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পূর্ব অনুমোদন নিতে হবে। ঐচ্ছিক ছুটি সাধারণ ছুটি, নির্বাহী আদেশে ঘোষিত ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে যুক্ত করে নেওয়া যেতে পারে।
যেসব অফিসের সময়সূচি ও ছুটি তাদের নিজস্ব আইন অনুযায়ী পরিচালিত হয় বা যেসব অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকে সরকার অত্যাবশ্যক ঘোষণা করেছে, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান জনস্বার্থ বিবেচনায় নিজস্ব আইন অনুযায়ী এই ছুটি ঘোষণা করবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।