conversion of private company into public

ব্যবসার প্রসার ও বৃদ্ধির লক্ষ্যে অনেক প্রাইভেট কোম্পানি পাবলিক কোম্পানিতে রূপান্তরিত হতে চায়। এই রূপান্তর প্রক্রিয়া জটিল হলেও, সঠিক পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এটি সহজ করা সম্ভব। বাংলাদেশের কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ অনুযায়ী, একটি প্রাইভেট কোম্পানিকে পাবলিক কোম্পানিতে রূপান্তরিত (conversion of private company into public) করা সম্ভব। এই রূপান্তরের মাধ্যমে একটি কোম্পানি বৃহত্তর বাজারে শেয়ার বিক্রি করে অধিক মূলধন সংগ্রহ করতে পারে এবং তার ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে পারে।

প্রয়োজনীয় শর্তাবলী

আপনার প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি যদি পাবলিক হতে চায়, তাহলে নিচের শর্তাবলী পূরণ করতে হবে:

  • সদস্য সংখ্যা: আপনার কোম্পানিতে কমপক্ষে সাতজন সদস্য থাকতে হবে।
  • বিশেষ সিদ্ধান্ত: কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের একটি সভায় বিশেষ সিদ্ধান্তের (special resolution) মাধ্যমে এই রূপান্তরের অনুমোদন দিতে হবে।
  • আইনি পরিবর্তন: কোম্পানি আইনের ২(ট) ধারা অনুযায়ি, প্রাইভেট কোম্পানি গঠনের জন্য যে বিশেষ বিধান রয়েছে, সেগুলো পরিবর্তন করতে হবে।
  • রূপান্তরের তারিখ: পরিবর্তনের তারিখ থেকেই আপনার কোম্পানি একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসাবে গণ্য হবে।
  • রিপোর্ট জমা: পরিবর্তনের তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে, কোম্পানি রেজিস্ট্রারের কাছে একটি প্রসপেক্টাস বা প্রসপেক্টাসের পরিবর্তে একটি বিবৃতি (prospectus or statement in lieu of prospectus) জমা দিতে হবে। এই বিবৃতিতে সিডিউল ৪ এর অংশ ১ এবং ২-এ উল্লিখিত বিষয়সমূহ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

Conversion of Private Company into Public

একটি প্রাইভেট কোম্পানিকে পাবলিক কোম্পানিতে রূপান্তরিত করতে হলে নিচের প্রক্রিয়াসমূহ সম্পাদন করতে হবে:

  • বিশেষ সভা আহ্বান: একটি বিশেষ সভা (Special General Meeting) আহ্বান করতে হবে। এই সভায় শেয়ারহোল্ডাররা বিশেষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
  • বিশেষ সিদ্ধান্তের খসড়া: কোম্পানির মেমোরান্ডাম অব অ্যাসোসিয়েশন (MoA) ও আর্টিকেলস অব অ্যাসোসিয়েশন (AoA) পরিবর্তনের জন্য একটি বিশেষ সিদ্ধান্তের খসড়া তৈরি করতে হবে।
  • শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন: সভায় শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিত ও ভোটাধিকার প্রয়োগকারীদের দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে বিশেষ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করতে হবে।
  • নিবন্ধকের কাছে আবেদন: অনুমোদিত বিশেষ সিদ্ধান্ত, পরিবর্তিত Memorandum of Association ও Articles of Association, এবং নির্ধারিত ফি সহ নিবন্ধকের কাছে আবেদন করতে হবে।
  • নিবন্ধকের অনুমোদন: নিবন্ধক আবেদনটি পর্যালোচনা করে অনুমোদন দিলে কোম্পানিটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধিত হবে।

শেষ কথা

প্রাইভেট কোম্পানিকে পাবলিক কোম্পানিতে রুপান্তর কোম্পানির প্রসার ও উন্নয়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে। তবে, রূপান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সকল দিক বিবেচনা করে সাবধানতার সাথে এগোনো উচিত। ব্যবসায় গঠনতন্ত্র রুপান্তর একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, তাই প্রয়োজনে অভিজ্ঞ আইনজীবী, অ্যাকাউন্ট্যান্ট এবং অন্যান্য পেশাদারদের পরামর্শ নিন। উনাদের পরামর্শ প্রাইভেট কোম্পানি থেকে পাবলিক কোম্পানির রুপান্তর প্রক্রিয়াকে সহজ ও আইনসিদ্ধ করতে সাহায্য করবে।

About The Author

Leave a Reply

× Contact Support!