Bangladesh Bank Decide Bank Merger

বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের সকল দুর্বল বা খারাপ ব্যাংককে সবল বা ভালো ব্যাংকের সাথে একীভূত (মার্জার) করার পরামর্শ দিচ্ছে। বর্তমানে দেশে ৬১টি ব্যাংক রয়েছে, যার মধ্যে ৪০টি ভালো করলেও বাকিগুলোর অবস্থা সুবিধাজনক নয়। ব্যাংকিং খাতে কোনও দুর্বল প্রতিষ্ঠান থাকলে পুরো খাতই ঝুঁকির মুখে পড়ে এবং এর প্রভাব সামগ্রিক অর্থনীতিতে পড়ে।

কেন একীভূত করার প্রয়োজন?

  • দুর্বল ব্যাংকগুলোর কারণে পুরো ব্যাংকিং খাত ঝুঁকির মুখে পড়ে।
  • দুর্বল ব্যাংকগুলো ভালো ব্যাংকগুলোর চেয়ে বেশি সুদে ঋণ দেয় এবং কম সুদে আমানত গ্রহণ করে।
  • দুর্বল ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেশি থাকে।

কখন একীভূত করা হবে?

  • ২০২৫ সালের ৩১শে মার্চ থেকে প্রম্পট কারেক্টিভ অ্যাকশন (পিসিএ) ফ্রেমওয়ার্ক কার্যকর করা হবে।
  • ২০২৫ সালের পর দুর্বল ব্যাংকগুলোকে চিহ্নিত করে মার্জিং-এর দিকে যাওয়া হবে।
  • ব্যাংকগুলোর প্রতি নির্দেশনা হলো মার্চের আগেই পিসিএ’র পূর্ণ বাস্তবায়ন করা।
  • যদি পিসিএ বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে একীভূত করার মতো পদক্ষেপ নিতে পারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সম্ভাব্য সুবিধা

  • ব্যাংকিং খাতে স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে।
  • খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমে যাবে।
  • ব্যাংকগুলো আরও শক্তিশালী হবে।
  • ঋণের সুদের হার কমবে।

সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ

  • একীভূত করার প্রক্রিয়া জটিল এবং ব্যয়বহুল হতে পারে।
  • কর্মীদের চাকরি হারানোর ঝুঁকি থাকতে পারে।
  • দুর্বল ব্যাংকগুলোর সমস্যা ভালো ব্যাংকগুলোতেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

শেষ কথা

ব্যাংকিং খাতে স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি এবং ঝুঁকি কমাতে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ভালো ব্যাংকের সাথে একীভূত করা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তবে এই প্রক্রিয়া সাবধানতার সাথে পরিচালনা করতে হবে যাতে কোনও অপ্রত্যাশিত সমস্যা দেখা না দেয়।

About The Author

Leave a Reply

× Contact Support!