কিভাবে Rapid Pass নিবেন?

How to get Rapid Pass card

বাংলাদেশে সরকার গণপরিবহন ব্যবস্থায় একাত্মতা ও সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে Rapid Pass চালু করেছে। এটি একটি স্মার্ট কার্ড যা ঢাকা মেট্রোরেল, বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (BRT), বাংলাদেশ রেলওয়ে, BIWTC-র নৌ-যান সার্ভিস, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন বাস সার্ভিসে ভাড়া পরিশোধের জন্য ব্যবহার করা যাবে। র‍্যাপিড পাসের মাধ্যমে ভ্রমণ করলেই ১০% ছাড় পাওয়া যায়।

কিভাবে র‍্যাপিড পাস নিবেন

ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের নির্ধারিত শাখা/উপ-শাখা থেকে র‍্যাপিড পাস ক্রয় করা যাবে।

যেসকল ডাচ-বাংলা ব্যাংকের শাখা/উপ-শাখা থেকে র‍্যাপিড পাস ক্রয় করা যাবে, সেইসকল শাখা/উপশাখার তালিকা:

১) সোনারগাঁও জনপদ শাখা, উত্তরা

 ২) উত্তরা শাখা, উত্তরা

৩) রবীন্দ্র সরণি শাখা

৪) পল্লবী শাখা, মিরপুর

৫) মিরপুর শাখা, মিরপুর

৬) মিরপুর সার্কেল-১০ শাখা

৭) ইব্রাহিমপুর শাখা, ক্যান্টনমেন্ট 

৮) শেওড়াপাড়া শাখা, মিরপুর

৯) কর্পোরেট শাখা, মতিঝিল

১০) ইন্দিরা রোড শাখা, ফার্মগেট

১১) খালপাড় উপ-শাখা, উত্তরা

১২) তালতলা উপ-শাখা, আগারগাঁও

১৩) সচিবালয় ফাস্ট ট্র্যাক, বাংলাদেশ সচিবালয়

১৪) ফার্মগেট উপ-শাখা, ফার্মগেট

১৫) কাওরান বাজার শাখা, কাওরান বাজার

১৬) গ্রীন রোড শাখা, পান্থপথ

১৭) এলিফ্যান্ট রোড শাখা

১৮) সেগুনবাগিচা উপ শাখা, সেগুনবাগিচা

১৯) বঙ্গবন্ধু এভিনিউ শাখা, গুলিস্তান

২০) মতিঝিল বৈদেশিক বাণিজ্য শাখা, গুলিস্তান

২১) শান্তিনগর শাখা, শান্তিনগর

২২) নিউ মার্কেট শাখা, নিউ মার্কেট

২৩) সাতমসজিদ রোড শাখা, ধানমন্ডি

২৪) ধানমন্ডি শাখা, মিরপুর রোড

২৫) নিউ ইস্কাটন শাখা, ইস্কাটন, মগবাজার

২৬) শ্যামলী শাখা, শ্যামলী

২৭) খিলগাঁও শাখা, তালতলা, খিলগাঁও

২৮) আর.কে.মিশন রোড উপ-শাখা, মতিঝিল

২৯) রামপুরা শাখা, রামপুরা

৩০) বিজয়নগর শাখা, বিজয়নগর

৩১) বসুন্ধরা শাখা, বসুন্ধরা

৩২) তেজগাঁও শাখা, নাবিস্কো, তেজগাঁও

৩৩) মগবাজার শাখা, মগবাজার

৩৪) মুগদা উপ শাখা, মুগদা

এছাড়াও  দিয়াবাড়ি  আগারগাও মেট্রো রেল স্টেশন এর DBBL এর বুথ থেকে র‍্যাপিড পাস ক্রয় করা যাবে। 

Rapid Pass নেওয়ার প্রক্রিয়া

অনলাইন বা অফলাইনে আপনি র‍্যাপিড পাস সংগ্রহ করতে পারবেন। নিচে অনলাইন বা অফলাইনে র‍্যাপিড পাস সংগ্রহের প্রক্রিয়া বর্ণনা করা হলো:

অফলাইন র‍্যাপিড পাস প্রক্রিয়া

১. প্রথমে আপনাকে যেকোনো ডাচ-বাংলা ব্যাংকের শাখায় যেতে হবে যেখানে র‍্যাপিড পাস সেবা চালু আছে।

২. ব্যাংকে গিয়ে দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে জিজ্ঞেস করলে তারা আপনাকে র‍্যাপিড পাসের ফর্ম সরবরাহ করবে।

৩. ফর্মটি পূরণ করে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, ইমেইল, ইত্যাদি লিখুন।

৪. পূরণকৃত ফর্ম, ৪০০ টাকা (কার্ড মূল্য ২০০ টাকা এবং রিচার্জ ২০০ টাকা), এবং আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের (NID) ফটোকপি কাউন্টারে জমা দিন।

৫. ব্যাংক কর্মকর্তা আপনার তথ্য যাচাই করবেন এবং কয়েক মিনিটের মধ্যে আপনাকে র‍্যাপিড পাস কার্ডটি হস্তান্তর করবেন।

অনলাইন র‍্যাপিড পাস প্রক্রিয়া

১. Rapid Pass এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে (https://www.facebook.com/rapidpassofficial) যোগাযোগ করুন।

২. অনলাইনে Rapid Pass কার্ড অর্ডার করার সুযোগ রয়েছে। (সার্ভিজ চার্জ প্রযোজ্য)

কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

  • আপনার কার্ডটি রেজিস্ট্রেশন করা আছে কিনা তা https://rapidpass.com.bd ওয়েবসাইটে ঢুকে তথ্যাবলী দ্বারা রেজিস্ট্রেশন করে নিশ্চিত করুন।
  • কার্ড হারিয়ে গেলে অথবা ভেঙ্গে গেলে নতুন কার্ডের জন্য আবেদন করার সময় পূর্ববর্তী কার্ডের ব্যালেন্স সমন্বয় করা যাবে।
  • র‍্যাপিড পাস ব্যবহারকারীদের প্রতি ভ্রমণে ১০% ডিসকাউন্ট প্রযোজ্য।

র‍্যাপিড পাসের সুবিধা

কেন র‍্যাপিড পাস ব্যবহার করবেন তা নিচের পয়েন্টগুলো পড়লেই আশাকরি বুঝতে পারবেন।

  • সহজ ও দ্রুত: ভাড়া পরিশোধের জন্য নগদ টাকার প্রয়োজন নেই, যা ভ্রমণকে আরও সহজ ও দ্রুত করে তোলে।
  • সময় ও অর্থের সাশ্রয়: টিকিট কেটে লাইনে দাঁড়াতে হয় না, যা সময় ও অর্থের সাশ্রয় করে। বর্তমানে র‍্যাপিড পাস ব্যবহারে গণপরিবনের ভাড়ার উপর ১০% ছাড় পাওয়া যাচ্ছে।
  • নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য: র‍্যাপিড পাস ব্যবহারে টাকা হারানোর ঝুঁকি কম।
  • পরিবেশবান্ধব: কাগজের টিকিটের ব্যবহার কমিয়ে পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখে।

শেষকথা

র‍্যাপিড পাস নেওয়ার নিয়মাবলী পরিবর্তন হতে পারে। সর্বশেষ তথ্যের জন্য র‍্যাপিড পাসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (https://rapidpass.com.bd/) বা ফেসবুক পেইজে দেখুন। এছাড়াও র‍্যাপিড পাস সম্পর্কিত নিচের ব্লগপোস্টগুলো দেখুন

Leave a Comment