send money to Bangladesh

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রবাসী আয়ের ভূমিকা অপরিসীম। বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশী প্রবাসীরা তাদের পরিবার-পরিজনের কাছে অর্থ পাঠাতে বিভিন্ন উপায় ব্যবহার করেন। বিদেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর (send money to Bangladesh) জন্য অনেকগুলি মাধ্যম রয়েছে, যার মধ্যে প্রত্যেকটির নিজস্ব সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে।

ব্যাংক হল বিদেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম। ব্যাংকগুলি সাধারণত দ্রুত এবং নিরাপদ পরিষেবা প্রদান করে। তবে, ব্যাংকগুলির চার্জগুলি অন্যান্য মাধ্যমের তুলনায় বেশি হতে পারে। বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং যেমন বিকাশের মাধ্যমে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠানো যায়। তবে, মোবাইল ব্যাংকিং সেবার কিছুটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এছাড়া বেশ কিছু মানি ট্রান্সফার কোম্পানি অনলাইনে অথবা অ্যাপের মাধ্যমে বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর কাজটা অনেক সহজ করে দিয়েছে। প্রত্যেকটি কোম্পানির নিজস্ব সেবা, নিয়মনীতি ও সার্ভিস চার্জ রয়েছে। আজকের লেখায় এমন জনপ্রিয় ৭টি মানি ট্রান্সফার কোম্পানি সম্পর্কে আপনাদের জানাবো, যেগুলো ব্যবহারে করে আপনি সহজেই বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আপনার স্বজনদের নিকট বা প্রয়োজনীয় বিভিন্ন কাজে টাকা পাঠাতে পারবেন।

বিদেশ থেকে দেশে টাকা পাঠাতে হলে যে বিষয়গুলো আপনাকে বিবেচনায় আনতে হবে

প্রতিটি মানি ট্রান্সফার কোম্পানির সেবার নিজস্ব সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে, তাই আপনার প্রয়োজনীয়তা এবং বাজেট অনুসারে সেরাটি বেছে নিন। যখন আপনি বিদেশ থেকে দেশে টাকা পাঠাবেন তখন আপনি যে বিষয়গুলো বিবেচনায় আনবেন, সেগুলো হলো:

  • ফি: ফি হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির মধ্যে একটি বিবেচনা করতে হবে। বিভিন্ন মানি ট্রান্সফার কোম্পানি বিভিন্ন ফি নেয়, তাই আপনার জন্য সবচেয়ে সাশ্রয়ী মানি ট্রান্সফার কোম্পানি খুঁজে বের করা গুরুত্বপূর্ণ।
  • হার: বিনিময় হার হল আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনা করতে হবে। বিভিন্ন মানি ট্রান্সফার কোম্পানি বিভিন্ন হার প্রদান করে, তাই আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো হার প্রদানকারী মানি ট্রান্সফার কোম্পানিটি খুঁজে বের করা গুরুত্বপূর্ণ।
  • দ্রুততা: দ্রুততাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনা করতে হবে। আপনি যদি দ্রুত টাকা পাঠাতে চান, তাহলে যে মানি ট্রান্সফার কোম্পানি দ্রুত সেবা দিতে পারবেন সেই কোম্পানিটি নির্বাচন করুন।
  • নিরাপত্তা: নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির মধ্যে একটি বিবেচনা করতে হবে। মানি ট্রান্সফার কোম্পানি নির্বাচনের ক্ষেত্রে তাদের নিরাপত্তার ফিচারগুলো ভালোভাবে নিশ্চিত হয়ে নিবেন।

বিদেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর ৭টি জনপ্রিয় কোম্পানি। Best Money Transfer Services Online Send Money to Bangladesh

এমটিও হলো মানি ট্রান্সফার অপারেটর। এই প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টাকা পাঠানোর সেবা প্রদান করে। বাংলাদেশে এমটিওর সংখ্যা অনেক। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এমটিওগুলো হলো Western Union, MoneyGram, Xoom এবং Remitly।

১. Wise (পূর্বে ট্রান্সফারওয়াইজ নামে পরিচিত)

অন্যান্য মানি ট্রান্সফার কোম্পানিগুলির তুলনায় Wise (ট্রান্সফারওয়াইজ) এর সার্ভিস চার্জ কম হওয়ায় দ্রুতই প্রবাসীদের নিকট Wise (ট্রান্সফারওয়াইজ) জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আপনি সহজেই তাদের মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে টাকা পাঠাতে পারেন এবং ২৪ ঘন্টার ভিতরেই আপনার কাংখিত প্রতিনিধির নিকট টাকা পাঠাতে সক্ষম হবেন।

Wise এর উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যসমূহ

  • কম চার্জ: Wise বিদেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর জন্য অন্যান্য মানি ট্রান্সফার কোম্পানিগুলির তুলনায় কম চার্জ নেয়। Wise-এর চার্জগুলি সাধারণত ১%-২% এর মধ্যে থাকে।
  • দ্রুত পরিষেবা: Wise সাধারণত ২৪ ঘন্টার মধ্যে টাকা পাঠানোর পরিষেবা প্রদান করে।
  • নিরাপদ পরিষেবা: Wise একটি নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠান এবং এটি আপনার অর্থ নিরাপদ রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। Wise-এর অ্যাকাউন্টগুলি PCI DSS স্তর 1 সার্টিফিকেশন দ্বারা সুরক্ষিত।
  • সহজ ব্যবহার: Wise একটি সহজ ব্যবহারযোগ্য অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট প্রদান করে। আপনি আপনার মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার থেকে যেকোনো সময় এবং যেকোনো জায়গা থেকে টাকা পাঠাতে পারেন।

Wise এর অসুবিধা

  • সেবার পরিধি: Wise এখনও বিশ্বের সমস্ত দেশে সেবা প্রদান করে না।
  • কোনো স্থানীয় এজেন্ট নেই: Wise-এর কোনও স্থানীয় এজেন্ট নেই। আপনি যদি টাকা পাঠানোর জন্য একজন এজেন্টের সাথে দেখা করতে চান তবে এটি সম্ভব নয়।

২. Remitly

বিদেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর জন্য Remitly জনপ্রিয় কারণ এটি একটি সহজ, দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য সেবা প্রদান করে। যারা মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে টাকা পাঠাতে চান তারা Remitly থেকে টাকা পাঠাতে পারেন। Remitly ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন বা Xoom এর চেয়ে সস্তা। আপনি তাদের মোবাইল অ্যাপ বা অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে সহজেই টাকা পাঠাতে পারেন।

Remitly এর উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যসমূহ

  • সহজ ব্যবহার: Remitly এর একটি সহজ ও ব্যবহারকারী-বান্ধব ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ রয়েছে। মাত্র কয়েকটি ক্লিকেই আপনি টাকা পাঠাতে পারবেন।
  • দ্রুত ডেলিভারি: Remitly এর মাধ্যমে টাকা পাঠানোর পর তা সাধারণত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিসিপিয়েন্টের কাছে পৌঁছে যায়।
  • নিম্ন ফি: Remitly এর ফি তুলনামূলকভাবে কম। আপনি সেন্ড করার আগেই সমস্ত ফি দেখতে পারবেন।
  • নিরাপদ: Remitly একটি নিরাপদ এবং সুরক্ষিত সেবা প্রদান করে। আপনার টাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য Remitly বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

Remitly এর অসুবিধা

  • ফি: Remitly এর ফি অন্যান্য কিছু মানি ট্রান্সফার কোম্পানির তুলনায় কিছুটা বেশি হতে পারে।
  • সেবার পরিধি: Remitly এর মাধ্যমে সকল দেশে টাকা পাঠানো যায় না।
  • সম্পর্কিত আইনকানুন: Remitly এর মাধ্যমে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে কিছু আইনকানুন ও বিধিনিষেধ রয়েছে। এ সম্পর্কে অবগত থাকা জরুরি।

৩. WorldRemit

WorldRemit ছোট ট্রান্সফার এবং রেমিট্যান্সের জন্য বিশেষ। যতদূর আমি জানি, এই সেবা ব্যক্তিগত টাকা পাঠানোর জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত। যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে আপনি সর্বোচ্চ ১০,০০০ মার্কিন ডলার পাঠাতে পারেন। তাই, যারা অনলাইনে আমেরিকান ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করেন তারা তাদের ক্লায়েন্টদের এই সেবা ব্যবহার করার পরামর্শ দিতে পারেন। আকর্ষণীয় বিষয় হলো, তাদের হার স্থানীয় ব্যাংকগুলির চেয়েও সস্তা।

WorldRemit এর উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যসমূহ

  • দ্রুত লেনদেন: WorldRemit এর মাধ্যমে টাকা পাঠানো সাধারণত মিনিট বা ঘন্টাগুলির মধ্যে পৌঁছে যায়।
  • কম খরচ: WorldRemit এর মাধ্যমে টাকা পাঠানোর জন্য প্রায়শই অন্যান্য আন্তর্জাতিক অর্থ স্থানান্তর সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় কম খরচ হয়।
  • বিস্তৃত নেটওয়ার্ক: WorldRemit ১৪০ টিরও বেশি দেশে ২০০ মিলিয়নেরও বেশি গ্রাহককে সেবা প্রদান করে।
  • নিরাপদ এবং সুরক্ষিত: WorldRemit এর মাধ্যমে আপনার লেনদেনগুলি নিরাপদ এবং সুরক্ষিত।

WorldRemit এর অসুবিধা

  • কখনও কখনও বেশি ফি: WorldRemit এর মাধ্যমে টাকা পাঠানোর জন্য ফি অন্যান্য আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার কোম্পানির তুলনায় বেশি হতে পারে।
  • প্রক্রিয়াকরণের সময়: লেনদেনের প্রক্রিয়াকরণের সময় কিছুটা বেশি সময় লাগতে পারে।

৪. Xoom

Xoom হল PayPal এর একটি মানি ট্রান্সফার সেবা যা ব্যবহারকারীদের বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে অর্থ প্রেরণ করে থাকে। এটি একটি অনলাইন এবং অ্যাপ ভিত্তিক সেবাপ্রতিষ্ঠান যা ব্যবহারকারীদেরকে তাদের কম্পিউটার বা স্মার্টফোন থেকে টাকা পাঠাতে সাহায্য করে। Xoom ব্যবহার করে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠানো খুবই সহজ। ব্যবহারকারীরা কেবলমাত্র Xoom ওয়েবসাইট বা অ্যাপটিতে যান, পাঠানোর পরিমাণ এবং গন্তব্য লিখুন, এবং তারপর পেমেন্ট করুন। টাকা পাঠানোর জন্য, ব্যবহারকারীদের একটি বৈধ ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড, বা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট প্রয়োজন।

Xoom এর উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যসমূহ

  • দ্রুত এবং সহজ: Xoom এর মাধ্যমে টাকা পাঠানো খুব দ্রুত এবং সহজ। কিছু ক্ষেত্রে, টাকা পাঠানোর মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে গ্রহীতার কাছে পৌঁছাতে পারে।
  • বিস্তৃত কভারেজ: Xoom ২০০টিরও বেশি দেশে টাকা পাঠানোর সুবিধা দেয়।
  • প্রতিযোগিতামূলক বিনিময় হার: Xoom এর বিনিময় হার সাধারণত অন্যান্য মানি ট্রান্সফার কোম্পানির তুলনায় প্রতিযোগিতামূলক।
  • নিরাপদ এবং সুরক্ষিত: Xoom এর অর্থ স্থানান্তর প্রক্রিয়াটি নিরাপদ এবং সুরক্ষিত।

Xoom এর অসুবিধা

  • ব্যাংক চার্জ: Xoom এর মাধ্যমে টাকা পাঠানোর জন্য, ব্যবহারকারীদের তাদের নিজস্ব ব্যাংকের চার্জের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
  • সীমাবদ্ধতা: Xoom এর মাধ্যমে কিছু দেশে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

৫. Skrill

আপনি কি বিনামূল্যে টাকা পাঠাতে চান? চিন্তা করবেন না! Skrill কোনও ট্রান্সফার ফি চার্জ করে না। একজন সহজেই একটি বাংলাদেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে টাকা পাঠাতে পারেন। তবে Skrill ব্যবহার করে তাৎক্ষনিক আপনি টাকা পাঠাতে পারবেন না। সাধারণত, গ্রাহকের নিকট টাকা পৌছাতে ২-৩ দিন সময় লাগে।

Skrill এর উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যসমূহ

  • সহজ: Skrill ব্যবহার করে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে সহজে টাকা পাঠানো যায়। আপনার শুধুমাত্র Skrill অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে, টাকা জমা করতে হবে এবং তারপর প্রদানকারীর কাছে পাঠানোর জন্য একটি ট্রান্সফার তৈরি করতে হবে।
  • কম খরচ: Skrill এর চার্জগুলি অন্যান্য মানি ট্রান্সফার কোম্পানির তুলনায় কম।
  • বিস্তৃত গ্রহণযোগ্যতা: Skrill বিশ্বব্যাপী ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য। আপনি Skrill ব্যবহার করে আপনার স্থানীয় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, বিকাশ, রকেট, নগদ এবং অন্যান্য অনেকগুলি স্থানীয় পেমেন্ট পদ্ধতির মাধ্যমে টাকা পাঠাতে পারেন।

Skrill এর অসুবিধা

  • বিনিময় হার: Skrill এর বিনিময় হারগুলি অন্যান্য মানি ট্রান্সফার কোম্পানির তুলনায় কম প্রতিযোগিতামূলক হতে পারে।
  • প্রক্রিয়াকরণের সময়: Skrill ট্রান্সফারগুলি প্রক্রিয়া করতে ২-৩ দিন সময় নিতে পারে।

৬. Western Union

Western Union হল একটি বিশ্বব্যাপী মানি ট্রান্সফার কোম্পানি। Western Union ব্যবহার করে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠাতে দ্রুত এবং সহজ। তবে, Western Union এর চার্জগুলি অন্যান্য মাধ্যমের তুলনায় বেশি হতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক send money to Bangladesh western union এর সুবিধা ও অসুবিধাসমূহ।

Western Union এর উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যসমূহ

  • বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্ক: Western Union বিশ্বব্যাপী ২০০টিরও বেশি দেশে সেবা প্রদান করে।
  • দ্রুত সেবা: Western Union দ্রুত সেবা প্রদান করে। সাধারণত, Western Union এর মাধ্যমে টাকা পাঠানোর ২৪ ঘন্টার মধ্যে বাংলাদেশে পাওয়া যায়।
  • সহজ ব্যবহার: Western Union ব্যবহার করা সহজ। আপনি অনলাইন, মোবাইল অ্যাপ বা এজেন্টের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে পারেন।
  • নিরাপদে টাকা পাঠানো: আপনার টাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য Western Union বিভিন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা ব্যবহার করে।
  • বিস্তৃত পৌঁছানো: Western Union বাংলাদেশে ১৫,০০০টিরও বেশি এজেন্ট পয়েন্টে সেবা প্রদান করে।
  • বিভিন্ন উপায়ে টাকা পাঠানো: Western Union আপনাকে বিভিন্ন উপায়ে টাকা পাঠাতে দেয়, যার মধ্যে রয়েছে নগদ, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, মোবাইল ওয়ালেট এবং কার্ড।
  • বিভিন্ন মুদ্রায় টাকা পাঠানো: Western Union এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন মুদ্রায় টাকা পাঠাতে পারবেন।

Western Union এর অসুবিধা

  • সার্ভিস ফি: Western Union এর চার্জগুলি অন্যান্য মানি ট্রান্সফার কোম্পানির তুলনায় বেশি হতে পারে হয়ে থাকে।
  • নিরাপত্তা: Western Union এর মাধ্যমে টাকা পাঠানো মোটামুটি নিরাপদ, তবে কিছু ক্ষেত্রে জালিয়াতির শিকার হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

৭. MoneyGram

MoneyGram হল আরেকটি বিশ্বব্যাপী মানি ট্রান্সফার কোম্পানি। ১৯৪০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের ১৯০ টিরও বেশি দেশে সেবা প্রদান করে থাকে। MoneyGram ব্যবহার করে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠাতেও দ্রুত এবং সহজ। তবে, MoneyGram এর চার্জগুলিও Western Union এর মতোই।

MoneyGram এর উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যসমূহ

  • সহজ ব্যবহার: অনলাইন, মোবাইল অ্যাপ এবং এজেন্টের মাধ্যমে টাকা পাঠানো যায়।
  • প্রাপকের সুবিধা : টাকা গ্রহণের জন্য প্রাপককে ব্যাংকে যেতে হয় না।
  • দ্রুত লেনদেন: টাকা গ্রহণের সময় দ্রুত লেনদেন হয়।

MoneyGram এর অসুবিধাসমূহ

  • সার্ভিস চার্জ: টাকা পাঠানোর খরচ তুলনামূলক বেশি হতে পারে।
  • ডকুমেন্টশন: লেনদেনের জন্য প্রাপককে কিছু নথিপত্র প্রদর্শন করতে হয়।

কিছু টিপস

বিদেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠাতে হলে নিম্নলিখিত টিপসগুলো অনুসরণ করা যেতে পারে:

  • টাকা পাঠানোর আগে অবশ্যই ট্রানজেকশন চার্জ এবং অন্যান্য ফি সম্পর্কে জেনে নিন।
  • টাকা পাঠাতে হলে প্রেরক এবং প্রাপকের সঠিক নাম, পরিচয়পত্রের তথ্য এবং ঠিকানা প্রদান করুন।
  • টাকা পাঠাতে হলে অবশ্যই টাকার পরিমাণের সঠিক হিসাব রাখুন।
  • টাকা পাঠাতে হলে অবশ্যই ট্রানজেকশনের রশিদ সংরক্ষণ করুন।

শেষ কথা

বিদেশ থেকে দেশে টাকা পাঠানোর (send money to Bangladesh) জন্য অনেকগুলি মাধ্যম রয়েছে। আপনার জন্য কোন মাধ্যমটি সবচেয়ে ভালো তা নির্ভর করে আপনার প্রয়োজনীয়তা এবং বাজেটের উপর। এই বিষয়গুলি বিবেচনা করে একটি মাধ্যম নির্বাচন করলে আপনি আপনার প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে পারবেন এবং আপনার অর্থ সুরক্ষিত রাখতে পারবেন। রেমিটেন্স নিয়ে আমাদের নিম্নোক্ত লেখাগুলো পড়তে পারেন।

About The Author

Leave a Reply

× Contact Support!