সাম্প্রতিক বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে দুর্বল সরবরাহ ব্যবস্থার কারণে বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় বিশ্বে খাদ্য সংকট সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এপ্রেক্ষিতে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে কৃষি খাতে স্বল্প সুদ হারে খণ প্রবাহ বজায় রাখার জন্য ৫,০০০ (পাঁচ হাজার) কোটি টাকার একটি পুনঃর্থায়ন স্কিম গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। (Refinance scheme of 5000 Crore Taka for agriculture sector to ensure food security of the country.) উক্ত পুনঃঅর্থায়ন ক্ষিম পরিচালনায় নিম্নরুপ নীতিমালা অনুসৃত হবে:
স্কিমের নাম
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কৃষি খাতের জন্য পুনঅর্থায়ন স্কিম
স্কিমের আওতায় তহবিলের পরিমাণ
৪ ৫,০০০ (পাঁচ হাজার) কোটি টাকা (প্রয়োজনে তহবিলের পরিমাণ বৃদ্ধি করা হবে)।
উৎস
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল।
স্কিমের মেয়াদ
৩০ জুন, ২০২৪ পর্যন্ত (প্রয়োজনে ক্ষিমের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হবে)।
ঋণ চুক্তি সম্পাদন ও তহবিল বরাদ্দ
ক) কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালার আওতাভুক্ত ব্যাংকসমূহ কৃষি ঋণ বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা এর সাথে একটি অংশগ্রহণ চুক্তি (Participation Agreement) সম্পাদন করে এ ক্ষিমের আওতায় পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে ।
খ) অংশগ্রহণ চুক্তি সম্পাদনকারী ব্যাংকসমূহের চাহিদা, কৃষি ও পল্লী খণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা, ঋণ বিতরণের সক্ষমতা ইত্যাদির ভিত্তিতে কৃষি খণ বিভাগ কর্তৃক ব্যাংকসমূহের অনুকূলে তহবিল বরাদ্দ করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক পরবর্তীতে প্রয়োজনবোধে বরাদ্দকৃত তহবিলের পরিমাণ পুনঃনির্ধারণ করতে পারবে।
গ) কৃষক/থাহক পর্যায়ে ঋণ বিতরণের পর পেশকৃত পুনঃঅর্থায়ন দাবী পর্যালোচনাপূর্বক পর্যায়ক্রমে বরাদ্দকৃত তহবিলের সমপরিমাণ অর্থ পুনঃঅর্থায়ন করা হবে।
কৃষক পর্যায়ে ঋণ বিতরণ
ক) এ স্কিমের আওতায় অংশগ্রহণকারী ব্যাংকসমূহকে নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কৃষক/প্রাহক পর্যায়ে ঋণ বিতরণ নিশ্চিত করতে হবে।
খ) কৃষক/প্রাহকগণের ঋণের সর্বোচ্চ পরিমাণ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কৃষি ও পল্লী খণ নীতিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই এর ভিত্তিতে নির্ধারণপূর্বক এ ক্ষিমের আওতায় বিতরণ করতে পারবে।
গ) ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও বর্গাচাষিদের অনুকূলে শস্য ও ফসল (ধান, শাক-সবজি, ফল ও ফুল) চাষের জন্য এককভাবে জামানতবিহীন (শুধুমাত্র ফসল দায়বন্ধনের বিপরীতে) সর্বোচ্চ ২.০০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ বিতরণ করা যাবে।
ঘ) শস্য ও ফসল (ধান, শাক সবজি, ফল ও ফুল চাষ) খাতে কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা অনুযায়ী সবেচ্চি ৫ একর জমিতে চাষাবাদের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট ফসল দায়বন্ধনের বিপরীতে ঋণ বিতরণ করা যাবে । এছাড়া, শস্য ও ফসল (ধান, শাক সবজি, ফল ও ফুল চাষ) ব্যতীত অন্যান্য খাতের খণসমূহের ক্ষেত্রে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ন্যনতম জামানত/সহায়ক জামানত গ্রহণের বিষয়ে ব্যাংক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে।
উ) এ স্কিমের আওতায় গৃহীত ঋণ কোনভাবেই গ্রাহকের পুরাতন ঋণ সমন্বয়ের জন্য ব্যবহার করা যাবে না।
চ) কোনো কৃষক/গ্রাহক যে কোনো ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানে খণ খেলাপি হলে তিনি এ ক্ষিমের আওতায় ঝাণ প্রাপ্তির যোগ্য বলে
বিবেচিত হবেন না।
ছ) কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালায় উল্লেখিত ঋণ নিয়মাচার অনুযায়ী কৃষকদের অনুকূলে ব্যাংকসমূহ কর্তৃক ঋণ বিতরণ করতে হবে।
কৃষি খাতের জন্য ৫,০০০কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিমটি বিস্তারিত জানতে নিচের ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করুন।