কোয়ারেন্টাইন (সংগনিরোধ-Quarantine Leave) ছুটির বিধান

কামরুল হাসান নূর

Updated on:

corona virus

বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস পার্ট-১ এর ১৯৬ বিধিতে ছুটির যে বিধান বর্ণনা করা হয়েছে সেখানে করোনা ভাইরাস জনিত ছুটির কথা উল্লেখ না থাকলেও কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে এই বিধির আওতায় সর্ব্বোচ্চ ৩০ (ত্রিশ) দিন ছুটি নিতে পারবে।

সংগনিরোধ ছুটি সম্পর্কে বি এস আর পার্ট-১ এর বিধি-১৯৬ এর বিধান নিম্নরুপ-

(১) সরকারী কর্মচারীর পরিবারের বা তাহার বাড়ীর কোন বাসিন্দার সংক্রামক রোগের কারণে উক্ত কর্মচারীর অফিসে আগমন নিষিদ্ধ করিয়া আদেশ জারির মাধ্যমে যে ছুটি প্রদান করা হয়, উহাই সংগনিরোধ ছুটি।

(২) এই প্রকার ছুটি মেডিকেল সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে অফিস প্রধান সর্বাধিক ২১ (একুশ) দিন পর্যন্ত এবং বিশেষ অবস্থায় ৩০ (ত্রিশ) দিন পর্যন্ত মঞ্জুর করিতে পারিবেন। সংগনিরোধজনিত কারণে ইহার অতিরিক্ত ছুটির প্রয়োজন হইলে, এই অতিরিক্ত ছুটি সাধারণ ছুটি হিসাবে গণ্য হইবে।

(৩) এই প্রকার ছুটিকালকে কর্মকাল হিসাবে গণ্য করা হয় এবং এই সময়ে উক্ত পদে অন্য কোন লোক নিয়োগ করা যায় না। ইহাছাড়া উক্ত ছুটি ভোগকালে সংশ্লিষ্ট কর্মচারী স্বাভাবিক নিয়মানুসারে বেতন ভাতাদি পাইবেন।

(৪) এই প্রকার ছুটির মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ অফিস প্রধান।

বিশ্লেষণ: (১) গুটি বসন্ত, কলেরা, প্লেগ, টাইফাস জ্বর ও সেরিব্রোস্পাইনাল মেননজস্ট্যাটিস রোগের ক্ষেত্রে এই প্রকার ছুটি প্রদান করা যাইবে। (স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং- জনস্বাস্থ্য/১কিউ-৪/৩৪২, তারিখ: ২৩ এপ্রিল, ১৯৭৫)

বিশ্লেষণ: (২) এই প্রকার ছুটি, “ছুটি হিসাব” হইতে বিয়োগ হয় না এবং নৈমিত্তিক ছুটির অনুরুপভাবে ছুটির হিসাবের জন্য এই প্রকার ছুটিকালকে কর্মকাল হিসাবে গণ্য করা হয়।

Quarantine Leave

Leave a Comment