করমুক্ত সীমার উর্দ্ধে আয়ের ক্ষেত্রে প্রদেয় নূন্যতম আয়করের পরিমাণ এলাকাভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে। এই লেখায় করদাতার অবস্থানভেদে করমুক্ত সীমার উর্দ্ধে আয়ের ক্ষেত্রে প্রদেয় নূন্যতম আয়করের পরিমাণ (Minimum tax depending on location of assessee) এবং করদাতার অবস্থান কিভাবে ধার্য হবে সেই বিষয়ে আলোচনা করবো।
করদাতার অবস্থানভেদে ন্যুনতম আয়করের পরিমাণ
এলাকার বিবরণ | নূন্যকত মরের পরিমাণ |
---|---|
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অবস্থিত করদাতা | ৫,০০০/- |
অন্যান্য সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অবস্থিত করদাতা | ৪,০০০/- |
সিটি কর্পোরেশন ব্যতীত অন্যান্য এলাকায় অবস্থিত করদাতা | ৩,০০০/- |
করদাতার অবস্থান নির্ণয়ের নিয়ম
যেহেতু করদাতার অবস্থান অনুযায়ী করদাতার আয় করমুক্ত সীমার উর্দ্ধে থাকলে করদাতাকে এলাকাভেদে নূন্যতম কর প্রদান করতে হবে, সেহেতু করদাতার কর্মস্থল, ব্যবসায়স্থল, বা কখনও কখনও আবাসস্থল নির্নয়ের প্রয়োজন পড়ে। বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষের জন্য এই অবস্থান নির্ণয়ের নিয়ম ভিন্ন হয়ে থাকে। তাই নিম্নে করদাতাভেদে কিভাবে করদাতার অবস্থান নির্ণয় করতে হবে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
- একজন করদাতার আয় যে কোন স্থানেই অর্জিত হোক না কেন তিনি যেখানে অবস্থান করবেন তার সে অবস্থানের ভিত্তিতেই ন্যুনতম করের হার নির্ধারিত হবে।
- কোন করদাতা একই আয়বর্ষে একাধিক স্থানে অবস্থান করলে যে স্থানে তিনি সর্বাধিককাল অবস্থান করেছেন সে অবস্থানস্থলের জন্য প্রযোজ্য ন্যুনতম করহার তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
- ব্যবসা আয়ের ক্ষেত্রে ব্যবসা পরিচালনার মুখ্য স্থানই ন্যুনতম করের জন্য একজন করদাতার অবস্থানস্থল হিসেবে বিবেচিত হবে।
- একজন চাকুরিজীবী করদাতা আয়বর্ষে একাধিক স্থানে কর্মরত থাকলে যে স্থানে তিনি অধিককাল কর্মরত ছিলেন ন্যুনতম করের জন্য সে স্থানই তার অবস্থানস্থল বলে বিবেচিত হবে।
- করদাতা অনিবাসী হলে বাংলাদেশে তিনি যে ঠিকানা ব্যবহার করেন সে ঠিকানাই তার অবস্থান স্থল হিসেবে বিবেচিত হবে।
- করমুক্ত সীমার উর্ধে আয় আছে এমন করদাতার প্রদেয় আয়করের পরিমাণ তার জন্য প্রযোজ্য ন্যুনতম আয়করের পরিমাণ অপেক্ষা কম হলে, অথবা বিনিয়োগজনিত কর রেয়াত বিবেচনার পর প্রদেয় আয়করের পরিমাণ প্রযোজ্য ন্যুনতম আয়করের কম, শূন্য বা ঋণাত্মক হলেও করদাতাকে তার জন্য প্রযোজ্য ন্যুনতম আয়কর পরিশোধ করতে হবে।