KYC

কেওয়াইসি (KYC) শব্দের অর্থ Know Your Customer।  বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসারে ব্যাংক হিসাব খুলতে হলে ব্যাংক কে গ্রাহক সম্পর্কে বিশদ তথ্য জানাতে হয়। এর জন্য ব্যাংক হিসাব খোলার সময় গ্রাহককে একটি নির্দিষ্ট ছকে নিজের তথ্যাদি পূরণ করে ব্যাংকে জমা দিতে হয়। সেটাই কেওয়াইসি (KYC)।

গ্রাহক কর্তৃক প্রদানকৃত তথ্যের স্বপক্ষে প্রয়োজনীয় নথিপত্র যেমন গ্রাহকের ছবি, পরিচয়পত্র, আয়ের স্বপক্ষে প্রমাণপত্র, লেনদেনের তথ্য, ঠিকানার প্রমাণ সংক্রান্ত কাগজপত্র ইত্যাদি জমা করতে হয়। এসব তথ্য-উপাত্ত যাচাই/পর্যালোচনা করে ব্যাংকারগণ গ্রাহকের ঝুঁকি নির্ধারণ করেন।

            ডিজিটাল পদ্ধতি অনুসরণ করে বায়োমেট্রিক (হাতের আঙুলের ছাপ)/আইরিস (চোখের মাধ্যমে) পদ্ধতিতে গ্রাহক সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতি হলো ই-কেওয়াইসি। বর্তমানে ই-কেওয়াইসি পদ্ধতি অনুসরণ করে ব্যাংকে না গিয়েও খুব সহজে ও স্বল্প সময়ে ব্যাংক হিসাব খোলা যায়। ই-কেওয়াইসি পদ্ধতিতে ইলেকট্রনিক উপায়ে গ্রাহকের তথ্য প্রদান করতে হয় এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তথ্যভান্ডারে সংরক্ষিত হয়।

About The Author

Leave a Reply

× Contact Support!