ইনস্টিটিউট অফ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অফ বাংলাদেশ (আইসিএবি) যাদের করযোগ্য আয় নেই তাদের নূন্যতম কর ২,০০০ টাকা নির্ধারণ করার প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে। এই স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাটি মনে করে এই প্রস্তাবের ফলে কর আদায় ও রিটার্ন জমার সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের বিষয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে ঢাকায় তার সদর দপ্তরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আইসিএবি নেতারা এ কথা বলেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আইসিএবি-এর কর ও কর্পোরেট আইন বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন, “ন্যূনতম কর নতুন নয়। এটা ইতিমধ্যেই আছে।”
তিনি বলেন, “বর্তমানে অনেকেই ব্যাংক আমানত থেকে তাদের সুদের আয়ের ওপর কর দেন। আমানতকারীদের অ্যাকাউন্টে সুদের আয় জমা করার সময় ব্যাংকগুলো কর কেটে নেয়।”
তিনি আরও বলেন, “আমানতকারীরা তাদের ট্যাক্স রিটার্নে উইথহোল্ডিং ট্যাক্স দেখাতে পারবেন, যা এখন অনেকেই করেন না।”
কবির বলেন, “ব্যবসায়ীদের নতুন নিয়মের বিরোধিতা করা উচিত নয় কারণ এতে করের জাল বাড়বে।”
এনবিআর আয়কর আইনে ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্তি ও নবায়ন, ৫ লাখ টাকার বেশি ব্যাংক ঋণের জন্য আবেদন, ঋণপত্র খোলা, আমদানি ব্যাংকের পরিচালক হওয়াসহ ৩৮টি সেবার ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার বিধান চালু করেছে। ক্রেডিট কার্ড প্রাপ্ত করা বা রক্ষণাবেক্ষণ করা এবং অস্ত্র এবং ক্রেডিট চিঠি খোলার লাইসেন্স প্রাপ্ত করা এবং রাখা।
এনবিআর ব্যাংক থেকে ৫ লক্ষাধিক টাকার খণ গ্রহণে, ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্তি ও নবায়ন, ক্রেডিট কার্ড প্রাপ্তি ও বহাল, আমদানির উদ্দেশ্যে খণপত্র খোলাসহ মোট ৩৮টি সেবার ক্ষেত্রে রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক করেছে।
এই মতবিনিময় সভায় আইসিএবি এর প্রেসিডেন্ট মোঃ মনিরুজ্জামান, স্নেহাশিষ মাহমুদ এন্ড কোং এর অংশীদার স্নেহাশিষ বড়ুয়াও বক্তব্য রাখেন।