how many dollars can be brought from abroad

বিদেশ ভ্রমণ শেষে ফিরে আসার সময় বা প্রবাসীরা যখন দেশে আসেন তখন প্রশ্ন জাগে, বিদেশ থেকে কত ডলার বা অন্য বৈদেশিক মুদ্রা আনা যাবে? এই প্রশ্নের উত্তর জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারিত পরিমাণের বেশি অর্থ আনলে জরিমানা বা আইনি জটিলতার সম্মুখীন হতে হতে পারে।

বিদেশ থেকে আগমনকালে যাত্রীরা যে বৈদেশিক মুদ্রা আনেন তা দেশের মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই সকল যাত্রীর উচিত দেশের নিয়মকানুন মেনে চলে বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনা। এই লেখায় আমরা আলোচনা করবো বিদেশ থেকে কত ডলার বা অন্য বৈদেশিক মুদ্রা আনা যাবে, কী কী নিয়ম মেনে চলতে হবে এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য।

বিদেশ থেকে কত ডলার আনা যাবে?

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসারে, বিদেশ থেকে আগমনকালে যাত্রীরা যেকোনো পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা বাংলাদেশে আনতে পারেন। তবে, ১০ হাজার মার্কিন ডলার বা সমমূল্যের বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আনলে শুল্ক কর্তৃপক্ষের কাছে এফএমজে (Foreign Currency Movement Declaration Form) ফরমে ঘোষণা করতে হবে। এই ফর্মে যাত্রীকে তার নাম, পাসপোর্ট নম্বর, আগমনের তারিখ, বিমানের নাম ও নম্বর, আনীত বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ ও মুদ্রার ধরণ উল্লেখ করতে হবে। বাংলাদেশী মুদ্রার ক্ষেত্রে, একজন যাত্রী সর্বোচ্চ ৫০০০ টাকা বাংলাদেশে আনতে পারবেন।

বৈদেশিক মুদ্রা কোথায় জমা রাখা যায়?

নিবাসী, অনিবাসী ও বিদেশী নাগরিকগণ বিদেশ থেকে সঙ্গে আনা বৈদেশিক মুদ্রা বা ডলার কীভাবে রাখতে পারবেন তা নির্দিষ্ট নিয়মাবলীর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

নিবাসী বাংলাদেশী

যদি কোন বাংলাদেশী ১০ হাজার মার্কিন ডলার বা সমমূল্যের কম বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনেন তাহলে তিনি উক্ত বৈদেশিক মুদ্রা নিজের কাছে রাখতে পারেন অথবা অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকে রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট (আরএফসিডি) হিসাবে জমা রাখতে পারেন। আর বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ ১০ হাজার মার্কিন ডলার বা সমমূল্যের বেশি হলে দেশে আসার ৩০ দিনের মধ্যে অনুমোদিত ডিলার ব্যাংক/লাইসেন্সধারী মানিচেঞ্জারের কাছে নগদায়ন বা আরএফসিডি একাউন্টে জমা রাখা বাধ্যতামূলক।

অনিবাসী বাংলাদেশী

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি অনুসারে, একজন ব্যক্তি ১০ হাজার মার্কিন ডলার বা সমমূল্যের বেশি বৈদেশিক মুদ্রা নগদ আকারে রাখতে পারবেন না। এই নিয়মের ব্যতিক্রম হলো যদি ব্যক্তিটি ঐ বৈদেশিক মুদ্রা অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকে নন-রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট (এনআরএফসিডি) একাউন্ট/প্রাইভেট ফরেন কারেন্সি (পিএফসি) হিসাবে জমা রাখেন। এনআরএফসিডি/পিএফসি হিসাব হলো বাংলাদেশের ব্যাংকগুলিতে খোলা বিশেষ ধরণের সঞ্চয়ী হিসাব যেখানে প্রবাসী বাংলাদেশি এবং অনাবাসীরা তাদের বৈদেশিক মুদ্রা (যেমন মার্কিন ডলার, ইউরো, ব্রিটিশ পাউন্ড) জমা রাখতে পারেন। এনআরএফসিডি/পিএফসি হিসাব থেকে অর্থ যেকোনো সময় উত্তোলন করা যায় এবং বিদেশে পাঠানো যায়। এনআরএফসিডি/পিএফসি হিসাব খোলার জন্য, একজন ব্যক্তিকে ব্যাংকে একটি আবেদনপত্র জমা দিতে হবে এবং KYC (Know Your Customer) নিয়ম মেনে চলতে হবে।

বিদেশী নাগরিক

১০ হাজার মার্কিন ডলার বা সমমূল্যের বেশি বৈদেশিক মুদ্রা বাংলাদেশ ত্যাগকালে সঙ্গে নিয়ে যেতে পারেন। এছাড়াও, উক্ত বৈদেশিক মুদ্রা বাংলাদেশে আগমনের পর যেকোনো সময়ে নগদায়ন বা ফরেন কারেন্সি হিসাবে জমা রাখতে পারেন।

আমাদের শেষকথা

বিদেশ থেকে আনীত বৈদেশিক মুদ্রার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশিকা মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নিয়ম না মেনে চললে জরিমানা বা আইনি জটিলতার সম্মুখীন হতে হতে পারে। আর যদি আমরা নিয়ম মেলে চলি তাহলে দেশের বৈদিশিক মুদ্রার রিজার্ভও সমৃদ্ধশীল হবে। তাই সকলের নিকট অনুরোধ থাকবে আমরা যথাযথ আইন মেনে বেশি বেশি বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনবো।

বিদেশ থেকে স্বর্ণ আনার নিয়ম

বিদেশ থেকে মোবাইল আনার নিয়ম

বিদেশ থেকে বিনা শুল্কে ২৯ ইঞ্চি টিভি আনা যাবে

বিদেশ থেকে শুল্কমুক্তভাবে কী আনা যাবে?

About The Author

Leave a Reply

× Contact Support!