২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ক্ষুদ্র ও মাঝারি হোম টেক্সটাইল ও টেরিটাওয়েলসহ রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক খাতের (নীট, ওভেন ও সোয়েটার) অন্তর্ভুক্ত সকল ক্ষুদ্র ও মাঝারি উৎপাদনকারী-রপ্তানিকারক শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুকূলে সম্পূর্ণ দেশিয় সুতা/বস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্য রপ্তানির বিপরীতে বিদ্যমান ব্যবস্থায় দেশিয় বস্ত্রমূল্যের ভিত্তিতে অতিরিক্ত নগদ সহায়তা সুবিধা বলবৎ রয়েছে। সম্পূর্ণ দেশিয় সুতা/বস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে পণ্যে ব্যবহৃত বস্ত্রমূল্যের উপর নগদ সহায়তা প্রদানের বিদ্যমান এ ব্যবস্থার পাশাপাশি সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ মর্মে জানানো যাচ্ছে যে –
(ক) ক্ষুদ্র ও মাঝারি উৎপাদনকারী-রপ্তানিকারক শিল্প প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ বিদেশি সুতা/বস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৩০% স্থানীয় মূল্য সংযোজনের শর্তে স্থানীয় মূল্য সংযোজনের ওপর নগদ সহায়তা প্রাপ্য হবে।
(খ) ক্ষুদ্র ও মাঝারি উৎপাদনকারী-রপ্তানিকারক শিল্প প্রতিষ্ঠান দেশি ও বিদেশি উভয় ধরণের সুতা/বস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৩০% স্থানীয় মূল্য সংযোজনের শর্তে স্থানীয় মূল্য সংযোজনের ওপর নগদ সহায়তা প্রাপ্য হবে।
আলোচ্য ক্ষেত্রে ইতঃপূর্বে উক্ত রপ্তানির বিপরীতে অতিরিক্ত নগদ সহায়তা গৃহীত হয়নি মর্মে নিশ্চিত হতে হবে।
সম্পূর্ণ বিদেশি কিংবা দেশি ও বিদেশি উভয় ধরণের সুতা/বস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্য রপ্তানির বিপরীতে নগদ সহায়তা এবং ডিউটি ড্র-ব্যাক/শুল্ক বন্ড সুবিধা একই সাথে প্রযোজ্য না হওয়ার শর্ত পূর্বের ন্যায় বহাল থাকবে। আলোচ্য নগদ সহায়তা ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে জাহাজীকৃত পণ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে এবং সংযোজনী ফরম -‘ক’ মোতাবেক প্রযোজনীয় দালিলাদিসহ নগদ সহায়তার জন্য পৃথকভাবে আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে এবং নিরীক্ষা কার্যক্রম সম্পাদন করাতে হবে। আবেদনপত্র দাখিলের নির্দেশিত সময় ইতোমধ্যে অতিবাহিত হয়েছে এমন ক্ষেত্রে এ সার্কুলার জারির তারিখ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট অনুমোদিত ডিলার ব্যাংক শাখায় আবেদনপত্র দাখিলযোগ্য হবে।
বিস্তারিত জানতে নিচের ডাউনলোড লিংকে ক্লিক করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারটি দেখুন