সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ব্যাংকস হেলথ ইনডেক্স (বিএইচআই) অ্যান্ড হিট ম্যাপ’ প্রতিবেদন ব্যাংকিং খাতে উদ্বেগজনক চিত্র তুলে ধরেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৪টি রাষ্ট্রায়ত্ত ও ৪টি বেসরকারি ব্যাংকসহ মোট ৯টি ব্যাংক ‘রেড জোনে’ অবস্থান করছে। এর মানে হলো, এই ব্যাংকগুলোর আর্থিক অবস্থা ভঙ্গুর এবং তাদের কার্যক্রমে উচ্চ ঝুঁকি বিদ্যমান।
রেড জোনের ব্যাংকগুলো
- রাষ্ট্রায়ত্ত: বেসিক ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক
- বেসরকারি: পদ্মা ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, এবি ব্যাংক
- বিদেশি: ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান
সচেতনতা ও নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন
এই ৯টি ব্যাংকের গ্রাহকদের সতর্ক থাকা উচিত এবং তাদের লেনদেনের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। একই সাথে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উচিত এই ব্যাংকগুলোর উপর নিয়ন্ত্রণ জোরদার করা এবং তাদের আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
আশার আলো
প্রতিবেদনে আরও দেখা যাচ্ছে, ২৯টি ব্যাংক ‘ইয়েলো জোনে’ এবং ১৬টি ব্যাংক ‘গ্রিন জোনে’ অবস্থান করছে। গ্রিন জোন সূচকের অর্থ হচ্ছে ব্যাংকগুলোর আর্থিক অবস্থা স্থিতিশীল এবং ঝুঁকির পরিমাণ কম এবং ইয়োলো জোন মধ্যবর্তী অবস্থানকে বোঝায়।
পরিশেষে
ব্যাংকিং খাত অর্থনীতির মেরুদণ্ড। ব্যাংকগুলোর স্থিতিশীলতা অর্থনীতির স্থিতিশীলতার জন্য অপরিহার্য। ‘রেড জোনে’ থাকা ব্যাংকগুলোর আর্থিক অবস্থা উন্নত করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। একই সাথে, ‘গ্রিন জোনে’ থাকা ব্যাংকগুলো তাদের ভালো পারফরমেন্স ধরে রাখতে পারবে বলে আশা করা যায়।