Site icon Chartered Journal

বাংলাদেশের ট্রেনের সিট প্রকারভেদ। Train Seat Details

Bangladesh Train Seat

বাংলাদেশ রেলওয়ে বাংলাদেশের সকল ট্রেন পরিচালনা করে থাকে। যাত্রীদের পছন্দ ও বাজেট বিবেচনায় বাংলাদেশের ট্রেনগুলোতে বিভিন্ন ধরনের সিট আছে। আবার সব ট্রেনে সব ধরনের সিট নাই। যখন কোন যাত্রী ট্রেনের টিকিট কাটতে যায় বিশেষত অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটতে গিয়ে সিট সিলেক্ট করতে যেয়ে Shovon, Snigdha, AC_S এমন নাম দেখে পূর্বে ট্রেন জার্নির অভিজ্ঞতা না থাকলে বোঝার উপায় থাকে না যে, কোন শ্রেণীর সিটে কি ধরনের সুবিধা। তাই আজকের পোস্টে বাংলাদেশ রেলওয়ের বর্তমান বিভিন্ন শ্রেনী অনলাইন অপশনের বিস্তারিত তুলে ধরছি।

বাংলাদেশ ট্রেনগুলোতে সিটগুলো যে সকল নামে থাকে

ট্রেনের সিট প্রকারভেদ – Train Seat Class Details

বাংলাদেশ সব ট্রেনেই কয়েক ধরণের সিট বা কোচ ক্লাস/শ্রেণী থাকে। টিকেট কেনার সময় বিশেষ করে অনলাইনে টিকেট কেনার সময় সেখানে সিট ক্লাস/শ্রেণী পছন্দ করতে গিয়ে অনেকেই বুঝতে পারেন না, কোন সিট কেমন ধরণের হয় বা ঐ সিটের বিশেষ কি সুবিধা আছে।

আবার অনেকেই হয়তো জানেন না সিট ক্লাস কোডের পূর্ণ রূপ কি বা সেই সিট কেমন বা কি সুবিধা/অসুবিধা আছে। এখানে বাংলাদেশের বিভিন্ন ট্রেনে যে ধরণের সিট বা কোচ ক্লাস/শ্রেণি টাইপ থাকে তা নিচে তুলে ধরা হলো।

কোন যাত্রায় কেমন সিট সিলেক্ট করবেন?

যদিও ট্রেনের সিটের পছন্দের বিষয়ে প্রত্যেকের নিজস্ব পছন্দ আছে। আবার বাজেটের বিষয়ে বিবেচনায় আনতে হয়। তারপরও একজন নিয়মিত ট্রেন যাত্রীর অভিজ্ঞতায় আমাদের নিজস্ব মতামত এখানে প্রকাশ করছি যা অধিকাংশ মানুষই আমাদের সাথে একমত হবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি।

১। দূরপাল্লার ট্রেন ভ্রমণের জন্যে শোভন এর টিকেট না কেনাই ভালো। সিট গুলো আরামদায়ক না হওয়ায় দূরের যাত্রাপথ আপনার জন্যে কষ্টকর হয়ে যাবে। তার উপর শোভন কোচে স্ট্যান্ডিং মানুষ বেশী থাকে এবং পরিবেশ তেমন ভাল হয়না।

২। যদি কম খরচ ও একটু আরামদায়ক সিটে ট্রেন ভ্রমণ করতে চান তাহলে শোভন চেয়ার (নন এসি) সিট সবচেয়ে ভালো হবে। খরচ ও কম হবে এবং সিটে বসে আরাম ও পাবেন।

৩। এসি কোচের কথা চিন্তা করলে স্নিগ্ধা সবচেয়ে ভালো।

৪। রাতের বেলায় কেবিন গুলো দিনের বেলায় সিট হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু কেবিনে বসে যাওয়াটা একটু কষ্টকর। সেই হিসেবে দিনের বেলা নন এসি ফার্স্ট ক্লাস সিট (F_SEAT) বা এসি সিট (AC_S) এ না গিয়ে শোভন চেয়ার বা স্নিগ্ধাতে ভ্রমণ আরামদায়ক হবে।

৫। যদি পরিবার নিয়ে ভ্রমণ করেন এবং প্রাইভেসি চান তাহলে দিন বা রাত কেবিন পুরোটা বুক করলে ভালো হবে।

অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটার নিয়ম 

শেষ কথা

এই ছিলো বাংলাদেশ ট্রেনের সিট প্রকারভেদ নিয়ে আমাদের আলোচনা। বর্তমানে প্রত্যেক যাত্রীর ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের প্রয়োজন হয়। আবার যেহেতু অল্প খরচে ট্রেন জার্নি করা যায় তাই ট্রেনের টিকিটের চাহিদা বিশেষত ছুটির আগের দিনগুলোতে বেশি থাকে। তাই আপনি যদি ট্রেনে ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তবে অবশ্যই অগ্রিম ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করে রাখবেন এবং ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস আগে থেকেই প্রস্তুত রাখবেন।

Exit mobile version