আপনি যদি নতুন পাসপোর্ট করতে চান অথবা পুরাতন পাসপোর্ট নবায়ন করতে চান তাহলে আপনাকে পাসপোর্টের মেয়াদ, পৃষ্ঠা সংখ্যা এবং বিতরণের ধরনের উপর ভিত্তি করে ই পাসপোর্ট ফি জমা দিতে হবে। বাংলাদেশ বা দেশের বাইরে থেকে ই পাসপোর্ট বা পাসপোর্ট নবায়ন করতে হলে কত টাকা ফি জমা দিতে হবে, কখন এবং কিভাবে ই পাসপোর্টের ফি জমা দিতে হয় সব কিছুই এই লেখা থেকে জানতে পারবেন।
কখন ই পাসপোর্ট ফি জমা দিতে হবে?
পাসপোর্ট অফিসে আবেদন করার পূর্বে ই পাসপোর্ট ফি অনলাইনে বা ব্যাংকের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।
কিভাবে ই পাসপোর্ট ফি জমা দেব?
বর্তমানে ঘরে বসেই অনলাইনে এ চালানের (A Challan) মাধ্যমে অথবা সোনালী ব্যাংকের সোনালী বিল পেমেন্ট সিস্টেম (Sonali Bill Payment System) ব্যবহার করে ই পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়া যায়। অনলাইন ব্যাংক ট্রান্সফার, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ, নগদ ও রকেট এর মাধ্যমে আপনি ই পাসপোর্টের টাকা জমা দিতে পারবেন। বিকল্পভাবে আপনি যেকোন ব্যাংকে এ চালানের মাধ্যমেও ই পাসপোর্টের ফি জমা দিতে পারেন। বর্তমানে প্রায় সকল ব্যাংকেই এ চালানের সুবিধা আছে। তাদের ভিতর উল্লেখযোগ্য ব্যাংকসমূহ হলো: প্রিমিয়ার ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া ও ঢাকা ব্যাংক।
⭐️⭐️⭐️ প্রতিদিন আপডেট পেতে এখানে ক্লিক করুন ⭐️⭐️⭐️
ই পাসপোর্ট ফি (E Passport Fee)
ই পাসপোর্ট করতে সর্বনিম্ন ৪,০২৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৩,৮০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। নিচের টেবিলে ই পাসপোর্ট ফি এর তালিকা দেখে নিন।
ডেলিভারী | ৪৮ পাতা | ৪৮ পাতা | ৬৪ পাতা | ৬৪ পাতা |
---|---|---|---|---|
৫ বছর | ১০ বছর | ৫ বছর | ১০ বছর | |
সাধারণ (Ordinary) | ৪০২৫ টাকা | ৫৭৫০ টাকা | ৬৩২৫ টাকা | ৮০৫০ টাকা |
জরুরী (Express) | ৬৩২৫ টাকা | ৮০৫০ টাকা | ৮৬২৫ টাকা | ১০৩৫০ টাকা |
অতি জরুরী (Super Express) | ৮৬২৫ টাকা | ১০৩৫০ টাকা | ১২০৭৫ টাকা | ১৩৮০০ টাকা |
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ
- উপরোক্ত সকল ফি’র মধ্যে ১৫% ভ্যাট অর্ন্তভূক্ত আছে।
- ১৮ বছরের কম এবং ৬৫ বছরের বেশি বয়সী আবেদনকারীগণ কেবলমাত্র ৫ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট পাবেন।
- সরকারি চাকরিজীবিদের যাদের NOC আছে বা অবসর সনদ আছে, তারা রেগুলার ফি দিয়ে জরুরী সুবিধা পাবেন। সরকারী চাকরীজীবিদের জন্য জরুরী আবেদন প্রযোজ্য নয়।
- অতি জরুরী আবেদনের ক্ষেত্রে পুলিশ প্রতিবেদন সাথে আনতে হবে।
ই-পাসপোর্ট এর আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময় যে সকল কাগজপত্র সাথে আনতে হবেঃ
১। আবেদনপত্রের প্রিন্ট কপি ।
২। এপয়েন্টমেন্ট শিডিউলের প্রিন্ট কপি ।
৩। পেমেন্ট স্লিপ কপি ।
৪। মূল জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্মনিবন্ধন সনদ এবং তার ফটোকপি (২০ বছর বয়স থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামুলক)।
৫। পূর্ববর্তী পাসপোর্ট এবং পাসপোর্ট এর ডাটা পেইজ এর ফটোকপি (যদি থাকে) ।
৬। শুধুমাত্র বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তন করা যাবে (এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজ আনতে হবে), অন্য কোন তথ্য পরিবর্তন করা যাবে না।