স্বনির্ধারণী পদ্ধতি হলো আয়কর রিটার্ন দাখিলের একটি পদ্ধতি যেখানে করদাতা নিজেই তার আয় এবং প্রদেয় কর নির্ধারণ করে। এই পদ্ধতিতে, করদাতাকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আয়কর রিটার্ন ফরম পূরণ করে জমা দিতে হয়। রিটার্নের সাথে করদাতাকে তার আয়ের প্রমাণ, কর ছাড়ের কাগজপত্র (যদি থাকে) এবং প্রদেয় করের চালান জমা দিতে হয়। স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে, করদাতাকে নিম্নলিখিত কাজগুলি করতে হয়:
- আয়ের হিসাব প্রস্তুত করা: করদাতাকে তার সকল আয়ের উৎস এবং পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে।
- করযোগ্য আয় নির্ণয় করা: করদাতাকে প্রযোজ্য কর ছাড় এবং করযোগ্য আয়ের জন্য অনুমোদিত ব্যয়গুলি বাদ দিয়ে তার করযোগ্য আয় নির্ণয় করতে হবে।
- প্রদেয় কর নির্ধারণ করা: করদাতাকে প্রযোজ্য কর হার ব্যবহার করে তার প্রদেয় কর নির্ণয় করতে হবে।
- আয়কর রিটার্ন পূরণ করা: করদাতাকে সঠিকভাবে আয়কর রিটার্ন ফর্ম পূরণ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সাথে জমা দিতে হবে।
স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিলের কিছু সুবিধা হলো:
- এটি দ্রুত এবং সহজ: করদাতাকে নিজে নিজে রিটার্ন পূরণ করতে হলেও, অনলাইন পদ্ধতির মাধ্যমে এটি সহজেই করা যায়।
- এটি করদাতার সচেতনতা বৃদ্ধি করে: করদাতা তার আয় এবং কর সম্পর্কে আরও সচেতন হয়ে ওঠে।
কাদের স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক
আয়কর আইনের ধারা ১৭০ অনুযায়ী সকল ব্যক্তিকে ধারা ১৮০ মোতাবেক অর্থাৎ স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিল করতে হবে। তবে, নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক নয় (অর্থাৎ তারা সাধারণ পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন), যথা:
১। এক ব্যক্তি কোম্পানি, ব্যাংক, ইন্স্যুরেন্স ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যতীত অন্যান্য কোম্পানি।
২। বাংলাদেশ ত্যাগকারী ব্যক্তি।
শেষকথা
উপকর কমিশনার রিটার্ন কোনো গাণিতিক ক্রটি লক্ষ্য করলে রিটার্ন প্রসেস করে করদাতার বরাবরে অতিরিক্ত অংক পরিশোধের জন্য বলতে পারেন এবং একই সাথে সংশোধিত রিটার্ন দাখিলের জন্যও বলতে পারেন।