আয়কর আইনের ধারা ২(৬৩) তে বিক্রয়লব্ধ অর্থ বা Realizable Value এর সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। উক্ত সংজ্ঞা অনুযায়ী, নিম্নোক্ত লেনদেনের যেকোন একটি সংঘঠিত হলেই সেই লেনদেনের শর্ত পুরণে বিক্রয়লব্ধ অর্থ বা Realizable Value নির্ধারণ হবে।
ক) পরিসম্পদ বিক্রয় করা হইলে উক্ত পরিসম্পদের বিক্রয়লব্ধ অর্থ বা ন্যায্য বাজার মূল্য, এই দুইয়ের মধ্যে যাহা অধিক;
খ ) বিনিময়ের মাধ্যমে পরিসম্পদ হস্তান্তর হইলে উক্ত হস্তান্তরের মাধ্যমে অর্জিত পরিসম্পদের ন্যায্য বাজার মূল্য;
গ) বিক্রয় বা বিনিময় ব্যতীত অন্য কোনোভাবে পরিসম্পদ হস্তান্তর করা হইলে উক্ত হস্তান্তরের বিনিময়ে প্রাপ্ত পণমূল্য;
ঘ) কোনো পরিসম্পদ পরিত্যক্ত, নিশ্চিহ্ন , ধ্বংস বা হারাইয়া গেলে উক্ত পরিসম্পদের স্ক্র্যাপ মূল্য, বা পরিসম্পদের বিপরীতে বিমা, স্যালভেজ বা ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রাপ্ত বা প্রাপ্য অর্থসহ উহা বিক্রয়ের মাধ্যমে উদ্ধারকৃত অর্থ;
ঙ) বাংলাদেশে বলবৎ কোনো আইনের অধীন আবশ্যিকভাবে পরিসম্পদ অধিগ্রহণ করা হইলে, অধিগ্রহণকৃত বাবদ পরিশোধিত ক্ষতিপূরণ;
চ) করদাতার কৃষিকাজে পরিসম্পদের ব্যবহার সমাপ্ত হইলে, সমাপ্ত হইবার সময় উক্ত পরিসম্পদের ন্যায্য বাজার মূল্য;
ছ) কোনো প্ল্যান্ট বা যন্ত্রপাতি বাংলাদেশে ব্যবহারের পর তাহা বাংলাদেশের বাহিরে রপ্তানি বা হস্তান্তর হইলে প্রাপ্ত রপ্তানি মূল্য;
জ ) কোনো যাত্রীবাহী যানের মূল্য তৃতীয় তফসিলের অধীন সর্বোচ্চসীমা সাপেক্ষে হলে তাহার পরিমাণ হবে-
ক X (খ/গ), যেখানে –
ক = যানটি বিক্রয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ;
খ = তৃতীয় তফসিলে যেই পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে;
গ = যানটি অর্জনের জন্য নির্বাহকৃত প্রকৃত ব্যয়;
ব্যাখ্যা। “বিক্রয়” অর্থে বিনিময় বা অন্য কোনোভাবে হস্তান্তর বা বলবৎ কোনো আইনের অধীন আবশ্যকভাবে অধিগ্রহণ অন্তর্ভুক্ত হবে