বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রকাশিত ডিএফআইএম সার্কুলার নং-০১ এর মাধ্যমে ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পরিচালক পর্ষদের গঠন, পরিচালকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কিত নীতিমালা জারি করা হয়েছে। এই নীতিমালা অনুযায়ী, ফাইন্যান্স কোম্পানির পরিচালক পদে নির্বাচিত হওয়ার জন্য একজন ব্যক্তিকে অবশ্যই নির্দিষ্ট যোগ্যতা ও উপযুক্ততা পূরণ করতে হবে। এই লেখায় আমরা ফাইন্যান্স কোম্পানির পরিচালক হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতাগুলো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবো।
শিক্ষাগত ও পেশাগত যোগ্যতা
- সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অন্যূন ১০ বছরের ব্যবস্থাপনা বা ব্যবসায়িক বা পেশাগত অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তবে, কোন ব্যক্তির বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁর কোনো কাজের অভিজ্ঞতাকে বিবেচনায় নেয়া হবে না।
- ন্যূনতম বয়স ৩০ বছর হতে হবে।
- বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের বিধানানুযায়ী ন্যূনতম শেয়ার ধারণ করতে হবে।
নৈতিকতা ও আইনি যোগ্যতা
- ফৌজদারী অপরাধে দণ্ডিত হতে পারবেন না।
- জালিয়াতি, প্রতারণা, আর্থিক অপরাধ বা অন্যবিধ অবৈধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকতে পারবেন না।
- দেওয়ানী বা ফৌজদারী মামলায় আদালতের রায়ে কোনো বিরূপ পর্যবেক্ষণ/মন্তব্য থাকতে পারবে না।
- আর্থিক খাত সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের বিধি লঙ্ঘন করতে পারবেন না।
- খেলাপী ঋণগ্রহীতা হতে পারবেন না।
- দেউলিয়া ঘোষিত হতে পারবেন না।
- ব্যক্তিগতভাবে বা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কর খেলাপী হতে পারবেন না।
অন্যান্য যোগ্যতা
- একই সময়ে অন্য কোনো ফাইন্যান্স কোম্পানি, ব্যাংক, বীমা কোম্পানি, বা তাদের সাবসিডিয়ারিতে পরিচালক/উপদেষ্টা/পরামর্শক হতে পারবেন না।
- ফাইন্যান্স কোম্পানিতে নিরীক্ষক, আইন উপদেষ্টা, উপদেষ্টা, পরামর্শক, বেতনভুক্ত কর্মচারী হতে পারবেন না।
- সংশ্লিষ্ট ফাইন্যান্স কোম্পানিতে চাকুরীরত থাকলে চাকুরী অবসায়নের ৫ বছর অতিক্রম করতে হবে।
- ইচ্ছাকৃত খেলাপী ঋণগ্রহীতা হিসেবে তালিকাভুক্ত হলে উক্ত তালিকা হতে অব্যাহতি প্রাপ্তির পর ৫ বছর অতিবাহিত হতে হবে।
স্বতন্ত্র পরিচালকের জন্য অতিরিক্ত যোগ্যতা
উপরে উল্লেখিত যোগ্যতা ছাড়াও স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ সংক্রান্ত নীতিমালা পরিপালন করতে হবে।
আমাদের শেষকথা
উল্লেখিত যোগ্যতা ও উপযুক্ততা পূরণকারী ব্যক্তিরা ফাইন্যান্স কোম্পানির পরিচালক পদে নির্বাচিত হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। পরিচালকদের নিয়োগের মাধ্যমে ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।