যোগানদারের (Procurement provider) ভ্যাট হার ৭.৫% আর ব্যবসায়ীর (Traders) ভ্যাট হার ৫% । দুইটারই ব্যবসায়ের ধরণ প্রায় এক হওয়াতে অনেক সময় আমরা পার্থক্য করতে পারিনা কোন সেবাটি যোগানদারের অন্তর্ভুক্ত আর কোন সেবাটি ব্যবসায়ীর অন্তর্ভুক্ত। যোগানদার ও ব্যবসায়ীর ব্যবসায়ের প্রকৃতির কারণে প্রকৃতিগতভাবে পার্থক্য থাকে। ভ্যাট আইনে যোগানদার ও ব্যবসায়ীর পার্থক্য আছে। বাংলাদেশ ভ্যাট প্রফেশনাল ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. আব্দুর রউফ এর লিকডইন প্রোফাইলে সুন্দরভাবে এই দুই শ্রেণীর পার্থক্য বর্ণনা করেছেন, যা এখানে ছক আকারে উপস্থাপন করা হলো:
নাম্বার | ব্যবসায়ী | যোগানদার |
---|---|---|
১ | ব্যবসায়ীর নির্দিষ্ট স্থাপনা থাকে। | যোগানদারের স্থাপনা থাকে না। যোগানদার একটা ঠিকানা ব্যবহার করে ট্রেড লাইসেন্স, টিআইএন, বিআইএন ইস্যু করে। সাধারণত ওই ঠিকানায় তার কিছুই থাকে না। |
২ | ব্যবসায়ী পণ্য ক্রয় করে তার ব্যবসার স্থানে মজুদ করে রাখে। | যোগানদার মজুদ করে রাখে না। যোগানদার কার্যাদেশ পাওয়ার পর ক্রয় করে সরবরাহ করে। তাই, বলা হয় যে, ব্যবসায়ী ক্রয় করার পর বিক্রি করে, আর যোগানদার বিক্রি করার পর ক্রয় করে। |
৩ | ব্যবসায়ী দু’এক পিস বিক্রি করে, বেশিও বিক্রি করে, টেন্ডারেও অংশগ্রহণ করে। | যোগানদার শুধুমাত্র টেন্ডারে অংশগ্রহণ করে কার্যাদেশ পেলে সেই পরিমাণ কিনে সরবরাহ করে। |
৪ | ব্যবসায়ী সব ধরনের টেন্ডারে অংশগ্রহণ করে না। তার কাছে যে পণ্য মজুদ থাকে বা তিনি যে পণ্যের কারবার করেন, সে পণ্যের টেন্ডারে অংশগ্রহণ করেন। | যোগানদার সব ধরনের টেন্ডারে অংশগ্রহণ করেন। যোগানদার আর্নেস্ট মানি জমা দিতে পারলে টেন্ডারে অংশগ্রহণ করেন। টেন্ডারে জয়ী না হলে আর্নেস্ট মানি উঠিয়ে নেন। |