একটি এলসি খোলার সাথে আমদানিকারক, রপ্তানিকারক ছাড়াও দুইপক্ষের ততোধিক ব্যাংক ঋণপত্র সেটেলমেন্টের সাথে জড়িত থাকে।
ক. আমদানিকারক/বায়ার (Importer): যার অনুরোধে ব্যাংক এলসি খোলে তাকে অ্যাপ্লিকেন্ট বলে এবং তিনিই আমদানিকারক/বায়ার ( (Importer/Buyer)।
খ. রপ্তানিকারক/বিক্রেতা/বেনিফিশিয়ারি (Exporter): যে পক্ষের অনুকূলে এলসি খোলা হয়ে থাকে রপ্তানিকারক/ বিক্রেতা/ বেনিফিশিয়ারি (Exporter/Seller/Beneficiary) বলে।
গ. ইস্যুয়িং ব্যাংক/আবেদনকারীর ব্যাংক (Issuing Bank): যে ব্যাংক আমদানিকারকের পক্ষে এলসি খোলে তাকে ইস্যুয়িং ব্যাংক বলে।
ঘ. কনফার্মিং ব্যাংক (Confirming Bank): যে ব্যাংক ইস্যুয়িং ব্যাংকের অনুরোধে এলসি-তে তার নিশ্চয়তা (Confirmation) প্রদান করে তাকে কনফার্মিং ব্যাংক বলে। এটি এডভাইজিং ব্যাংকও হতে পারে।
ঙ. এডভাইজিং/নোটিফাইং ব্যাংক (Advising/Notifying Bank): রপ্তানিকারকের দেশে অবস্থিত যে ব্যাংকের মাধ্যমে এলসি এডভাইস পাঠানো হয় তাকে এডভাইজিং ব্যাংক বলে। এডভাইজিং ব্যাংক ঋণপত্রের শর্ত অনুসারে কখনও কখনও কনফার্মিং/ নেগোশিয়েটিং ব্যাংক হিসেবেও কাজ করে।
চ. নেগোশিয়েটিং ব্যাংক (Negotiating Bank): এটা এমন এক ব্যাংক (ঋণপত্রে উল্লেখিত ব্যাংক বা ঋণপত্রে উল্লেখ না থাকলেও যেকোন ব্যাংক) যেখানে ঋণপত্রের বেনিফিশিয়ারি উক্ত ঋণপত্রে নির্দিষ্ট মূল্যের ভিত্তিতে ঋণপত্রে উল্লেখিত পরিমাণ পণ্য বা সেবা রপ্তানির স্বপক্ষে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস-এর বিপক্ষে ঋণ নিতে সক্ষম। এডভাইজিং ব্যাংক ও নেগোশিয়েটিং ব্যাংক এক হতেও পারে আবার নাও পারে। কখনও কখনও কনফার্মিং ব্যাংক নেগোশিয়েটিং ব্যাংক হিসেবে কাজ করে।
ছ. পেয়িং/রিইমবার্সিং ব্যাংক (Paying/Reimbursing Bank): যে ব্যাংক ঋণপত্রের মূল্য পরিশোধ করে থাকে তাকেই পেয়িং/রিইমবার্সিং ব্যাংক বলে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ইস্যুয়িং ব্যাংকই পেয়িং-রিইমবার্সিং ব্যাংক হিসেবে কাজ করে।