অর্থ আইন ২০২০ এর মাধ্যমে করদাতাদের নির্দিষ্ট হারে কর পরিশোধ করে পূর্বের যেকোন সময়ের অপ্রদর্শিত স্থাবর সম্পত্তি (যেমন- জমি, বিল্ডিং বা এ্যাপার্টমেন্ট), অস্থাবর সম্পত্তি (যেমন- নগদ টাকা, ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, আর্থিক স্কিম ও ইনস্ট্রুমেন্টস বা সার্টিফিকেট) ও পুঁজিবাজারে সিকিউরিটিজে (“বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন” কর্তৃক অনুমোদিত এবং তালিকাভুক্ত কোম্পানির স্টক, শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট, বন্ড, ডিবেঞ্চার ও অন্যান্য সিকিউরিটিজ এবং পুঁজিবাজারে ক্রয়-বিক্রয়যোগ্য সকল সরকারি সিকিউরিটিজ ও বন্ড বুঝাবে) বিনিয়োগের এবং অপ্রদর্শিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ প্রদর্শনের সুযোগ প্রদান করা হয়েছে।
করদাতার সকল অপ্রদর্শিত সম্পদ ও সিকিউরিটিজে বিনিয়োগকৃত অর্থের উৎস নিয়ে আয়কর কর্তৃপক্ষসহ অন্যকোন কর্তৃপক্ষ কোন প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারবেন না।
উৎসের ব্যাখা ব্যতিরেকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ
অর্থ আইন, ২০২০ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ তে নতুন ধারা 19AAAA সংযোজন করা হয়েছে এ বিধানের মাধ্যমে অর্থের উৎসের ব্যাখ্যা ব্যতিরেকে সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে৷ এ ধারার প্রয়োগের ক্ষেত্রে সিকিউরিটিজ বলতে ”বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন” কর্তৃক অনুমোদিত এবং তালিকাভুক্ত কোম্পানির স্টক, শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট, বন্ড, ডিবেঞ্চার ও অন্যান্য সিকিউরিটিজ এবং পুঁজিবাজারে ক্রয়-বিক্রয়যোগ্য সকল সরকারি সিকিউরিটিজ ও বন্ড বুঝাবে।
নতুন এ বিধান অনুযায়ী যেকোনো ব্যক্তি-করদাতা বিনিয়োগকৃত অংকের ১০% হারে কর পরিশোধ করে পুঁজিবাজারে কোনো সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করলে বিনিয়োগকৃত অর্থের উৎস নিয়ে আয়কর কর্তৃপক্ষসহ অন্যকোনো কর্তৃপক্ষ কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত শর্তসমূহ পরিপালন করতে হবে, যথা:-
১. বিনিয়োগ অবশ্যই ১ জুলাই, ২০২০ হতে ৩০ জুন, ২০২১ (উভয় দিন অন্তর্ভূক্ত) সময়সীমার মধ্যে করতে হবে।
২. বিনিয়োগের ৩০ দিনের মধ্যে কর পরিশোধ করতে হবে।
৩. উক্ত বিনিয়োগ সম্পর্কে উপকর কমিশনারের নিকট IT D2020 ফর্মে (নতুন সংযোজিত বিধি 24B অনুযায়ী) ঘোষণাপত্র দাখিল করতে হবে।
৪. এ ধারার অধীন ঘোষিত বিনিয়োগের তারিখ হতে এক বছরের মধ্যে পুঁজিবাজার হতে বিনিয়োগকৃত কোনো অর্থ উত্তোলন করা হলে তা সংশ্লিষ্ট আয় বছরে করদাতার “অন্যান্য উৎসের আয়” হিসেবে গণ্য হবে।
৫. বিনিয়োগের তারিখে অথবা তার পূর্বে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর অধীন করফাঁকির অভিযোগে কোনো কার্যধারা (proceeding) বা অন্যকোনো আইনের অধীন আর্থিক বিষয়ে কোনো কার্যধারা চালু হলে এ ধারার বিধান প্রযোজ্য হবে না।
৬. বি.ও. এ্যাকাউন্টে জমাকৃত টাকা “সিকিউরিটিজে” বিনিয়োগ না করলে এ ধারার সুযোগ গ্রহণ করতে পারবেন না।
উদাহরণ ১
জনাব ফখরুল ইসলাম ১০ কোটি টাকা ৩০ জুন, ২০২১ খিষ্টাব্দ তারিখে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করলেন। বিনিয়োগের ৩০ দিনের মধ্যে অর্থাৎ ৩০ জুলাই, ২০২১ তারিখের মধ্যে ১০% হারে আয়কর পরিশোধের অর্থাৎ ১ কোটি টাকা আয়কর পরিশোধের প্রমাণাদিসহ উপকর কমিশনারের নিকট IT D2020 ফর্মে ঘোষণাপত্র দাখিল করবেন। করদাতা ৩০ জুন ২০২১ তারিখে সমাপ্য আয় বছরের জন্য প্রযোজ্য আয়কর রিটার্নে অর্থাৎ ২০২১-২০২২ কর বছরের জন্য প্রযোজ্য আয়কর রিটার্নে উক্ত বিনিয়োগ প্রদর্শন করতে পারবেন।
এছাড়াও ৩০ জুন ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ তারিখ বা তার পূর্বে জনাব ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর অধীন করফীকির অভিযোগে কোনো কার্যধারা (proceeding) বা অন্যকোনো আইনের অধীন আর্থিক বিষয়ে কোনো কার্যধারা চালু
হলে তিনি এ সুযোগ গ্রহণ করতে পারবেন না।
উদাহরণ ২
জনাব মোহাম্মদ মুসা ১০ কোটি টাকা ৩০ মে, ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ তারিখে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করলেন। বিনিয়োগের ৩০ দিনের মধ্যে অর্থাৎ ২৯ জুন, ২০২১ তারিখের মধ্যে ১০% হারে আয়কর পরিশোধের অর্থাৎ ১ কোটি টাকা আয়কর পরিশোধের প্রমাণাদিসহ
তিনি উপকর কমিশনারের নিকট IT D2020 ফর্মে ঘোষণাপত্র দাখিল করবেন। করদাতা ৩০ মে, ২০২২ তারিখের মধ্যে যেকোনো তারিখে যদি উক্ত বিনিয়োগের অর্থ পুঁজিবাজার হতে উত্তোলন করেন তবে বিনিয়োগের যে পরিমাণ অর্থ উত্তোলিত হয়েছে তা করদাতার২০২১-২০২২ আয়বছরের অন্যান্য উৎস হতে আয় হিসেবে পরিগণিত হবে।
উদাহরণ ৩
নিলুফার ইয়াসমিন ১০ কোটি টাকা ৩০ মে, ২০২১ খিষ্টাব্দ তারিখে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করলেন। বিনিয়োগের ৩০ দিনের মধ্যে অর্থাৎ ২৯ জুন, ২০২১ তারিখের মধ্যেবিনিয়োগকৃত অংকের ১০% হারে আয়কর পরিশোধের অর্থাৎ ১ কোটি টাকা আয়কর
পরিশোধের প্রমাণাদিসহ তিনি উপকর কমিশনারের নিকট IT D2020 ফর্মে ঘোষণাপত্র দাখিল করবেন। যদি করদাতা ২৯ জুন, ২০২১ তারিখের মধ্যে প্রযোজ্য কর পরিশোধে ব্যর্থ হন অথবা ২৯ জুন, ২০২১ তারিখের পরের কোনো তারিখে প্রযোজ্য কর পরিশোধ করেন তবে এ ধারার অধীন কর পরিশোধ করেছেন বলে গণ্য হবে না। যদি পরবর্তীকালে দেখা যায় করদাতা বিনিয়োগের তারিখের ৩০ দিনের মধ্যে কর পরিশোধ করেননি তাহলে প্রদর্শিত বিনিয়োগের অংক, ভিন্নরূপ কোনো ব্যাখ্যার অনুপস্থিতিতে, অন্যান্য উৎসের আয় হিসেবে গণ্য হবে।
উদাহরণ ৪
পুঁজিবাজারে নামীরা নুজাইমার বিদ্যমান বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০,০০,০০০ টাকা। তিনি ধারা 19AAAA মোতাবেক ৩০ জুলাই ২০২০ তারিখে পুঁজিবাজারে ১,৫০,০০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করেন এবং বিধি মোতাবেক কর পরিশোধ করেন। ০৫ আগস্ট ২০২০
তারিখে তিনি সকল পুঁজি একত্রিত করে একটি নিদিষ্ট স্টকে বিনিয়োগ করেন ৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে ২০,০০,০০০ টাকা লোকসানে উক্ত স্টক বিক্রয় করেন। করদাতা ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে ৫০,০০,০০০ টাকা পুঁজিবাজার হতে উত্তোলন করেন। ৩০ জুন ২০২১ তারিখে পুঁজিবাজার হতে করদাতার নীট মূলধনী মুনাফা ৩০,০০,০০০ টাকা। করদাতা পুঁজিবাজার হতে অর্জিত মুনাফা উত্তোলন না করে পুনঃবিনিয়োগ করেছেন এবং ৩০ জুন ২০২১ তারিখে মোট বিনিয়োগের স্থিতি ১,৬০,০০,০০০ টাকা।
লক্ষণীয়, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে ২০,০০,০০০ টাকা লোকসানে উক্ত স্টক বিক্রয়ের কারণে করদাতার মোট বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৮০,০০,০০০ টাকা। অর্থাৎ ধারা 19AAAA মোতাবেক পুঁজিবাজারে করদাতার ১,৫০,০০,০০০ টাকা বিনিয়োগ
অনুপাতিকভাবে হ্রাস পেয়ে ১,৩৫,০০,০০০ টাকা হয়। ধারা 19AAAA ব্যতীত পুঁজির পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৫,০০,০০০ টাকা। ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে করদাতা উত্তোলন করেন ৫০,০০,০০০ টাকা। অর্থাৎ করদাতা ৫,০০,০০০ টাকা (পাঁচ লক্ষ টাকা) ধারা 19AAAA মোতাবেক প্রদর্শিত বিনিয়োগ হতে উত্তোলন করেন। উক্ত ৫,০০,০০০ টাকা করদাতার ২০২১-২০২২ কর বছরের জন্য অন্যান্য উৎসের আয় হিসেবে পরিগণিত হবে।
আপনার যেকোন সময়ের অপ্রদর্শিত নগদ অর্থ, সম্পত্তি ইত্যাদি প্রদর্শনের সুযোগ
অর্থ আইন, ২০২০ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 19AAAAA সংযোজন করা হয়েছে। অপ্রদর্শিত সম্পত্তি, নগদ অর্থ, ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিশেষ কর ব্যবস্থার বিধান হিসেবে এ ধারা সংযোজিত হয়েছে। নতুন এ বিধান অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি করদাতা পূর্বের যেকোনো সময়ের অপ্রদর্শিত স্থাবর সম্পত্তির জন্য এ ধারার টেবিল-১ (জমির ক্ষেত্রে) ও টেবিল-২ ( বিল্ডিং ৰা এ্যাপার্টমেন্টের ক্ষেত্রে) অনুযায়ী বর্গমিটার প্রতি একটি নির্দিষ্ট হারে কর পরিশোধ করে এবং টেবিল-৩ এ বর্ণিত পূর্বের যেকোনো সময়ের অপ্রদর্শিত অস্থাবর সম্পত্তির জন্য ১০% হারে কর পরিশোধ করে বর্ণিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি প্রদর্শন করতে পারবেন। করদাতার এ সকল অপ্রদর্শিত সম্পদের উৎস নিয়ে আয়কর কর্তৃপক্ষসহ অন্যকোনো কর্তৃপক্ষ কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করবে না যদি তিনি নিম্নবর্ণিত শর্তসমূহ পূরণ করেন, যথা:-
১. রিটার্ন অথবা সংশোধিত রিটার্ন (revised return) দাখিলের পূর্বে প্রযোজ্য কর পরিশোধ করতে হবে।
২. ১ জুলাই, ২০২০ হতে ৩০ জুন, ২০২১ (উভয় দিন অন্তর্ভূক্ত) সময়সীমার মধ্যে রিটার্ন বা সংশোধিত রিটার্ন দাখিল করতে হবে।৩. রিটার্ন অথবা সংশোধিত রিটার্ন দাখিলের তারিখে অথবা তার পূর্বে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর অধীন করফাঁকির অভিযোগে কোনো কার্যধারা (proceeding) বা অন্যকোনো আইনের অধীন আর্থিক বিষয়ে কোনো কার্যধারা চালু হলে এ ধারার বিধান প্রযোজ্য হবে না।
এই ধারার অধীন কর পরিশোধ পূর্বক সম্পদ প্রদর্শনের ক্ষেত্রে নিয়লিখিত বিষয়সমূহ বিবেচনায় নিতে হবে, যথা:-
১. যেক্ষেত্রে নগদ (cash) প্রদর্শন করা হবে সেক্ষেত্রে তা ৩০ জুন ২০২০ তারিখের আইটি ১০বি হাতে নগদ বা ব্যাংকে নগদ অথবা ব্যবসায়ের পুঁজিহিসেবে প্রদর্শন করতে হবে।
২. অপ্রদর্শিত জমি অথবা বিল্ডিং বা ত্যাপার্টমেন্টের ক্ষেত্রে নির্ধারিত হার ব্যতীত অন্যকোনভাবে কর পরিশোধ করা যাবে না। অর্থাৎ অপ্রদর্শিত জমি অথবা বিল্ডিং বা এপ্যার্টমেন্ট ক্রয়ের দলিলমূল্যকে অপ্রদর্শিত নগদ অর্থ হিসেবে প্রদর্শন করে ১০ শতাংশ হারে কর পরিশোধ করা যাবেনা। প্রতি বর্ণমিটারের জন্য নির্ধারিত হারে কর পরিশোধ করতে হবে।
৩. এ ধারার অধীন কর পরিশোধ করে সম্পদ প্রদর্শনের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার ঘোষণাপত্রের প্রয়োজন হবে না। দাখিলকৃত রিটার্ন বা সংশোধিত রিটার্নের সম্পদ বিবরণী অংশে যথাস্থানে তা প্রদর্শন করে “অন্যান্য প্রাপ্তির ঘরে” এতৎসংক্রান্ত ব্যাখ্যা প্রদান করতে হবে৷ প্রযোজ্যতা মোতাবেক প্রমাণক হিসেবে ব্যাংক বিবরণী, দলিলাদি প্রভৃতি সংযোজন/দাখিল করতে হবে।
৪. এ ধারার শর্ত পরিপালনপূর্বক ঘোষিত সম্পদ এবং সম্পদ সম্পর্কিত কোনো বিষয়ে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর অন্যকোনো ধারায় কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে না।
আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 19/৯/১/১/১/১ অনুযায়ী করহার-
টেবিল-১
ক্রমিক নং | সম্পত্তির বর্ণনা | করহার |
---|---|---|
১ | ঢাকার গুলশান মডেল টাউন, বনানী, বারিধারা, মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা ও দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকায় অবস্থিত ভূমি | প্রতি বর্গ মিটারে বিশ হাজার টাকা |
২ | ঢাকার ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা, ডিফেন্স অফিসার্স হাউজিং সোসাইটি; (ডিওএইচএস), মহাখালি, লালমাটিয়া হাউজিং সোসাইটি, উত্তরা মডেল টাউন, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, সিদ্ধেশ্বরী, কারওয়ানবাজার, বিজয় নগর, ওয়ারী , সেগুনবাগিচা ও নিকুঞ্জ এবং চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ, খুলশী, আগ্রাবাদ ও নাসিরাবাদ এলাকায় অবস্থিত ভূমি | প্রতি বর্গ মিটারে পনের হাজার পাঁচ শত টাকা |
৩ | ক্রমিক নং ১ ও ২ এ উল্লিখিত এলাকাব্যতীত সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অবস্থিত ভূমি | প্রতি বর্গ মিটারে পাঁচ হাজার টাকা |
৪ | কোনো পৌরসভা বা জেলা সদর এলাকায় অবস্থিত ভূমি | প্রতি বর্গ মিটারে এক হাজার পাঁচ শত টাকা |
৫ | ক্রমিক নং ১, ২, ৩ ও ৪ এ উল্লিখিত এলাকা ব্যতীত অন্যান্য এলাকায় অবস্থিত ভূমি | প্রতি বর্গ মিটারে পাঁচশত টাকা |
টেবিল-২
ক্রমিক নং | সম্পত্তির বর্ণনা | করহার |
---|---|---|
১ | মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা ও দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকায় অবস্থিত অনধিক দুইশত বর্গমিটার পোতার আয়তন (plinth area) বিশিষ্ট বিল্ডিং বা আ্যাপার্টমেন্ট | প্রতি বর্গ মিটারে চার হাজার টাকা |
২ | ঢাকার গুলশীন মডেল টাউন, বনানী বাধার, মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা ও দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকায় অবস্থিত দুইশত বর্গমিটারের অধিক পোতার আয়তন বিশিষ্ট বিল্ডিং বা আ্যাপার্টমেন্ট | প্রতি বর্গ মিটারে ছয় হাজার টাকা |
৩ | ঢাকার ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা, ডিফেন্স অফিসার্স হাউজিং সোসাইটি (ডিওএইচএস), মহাখালি, লালমাটিয়া হাউজিং সোসাইটি, উত্তরা মডেল টাউন, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, সিদ্ধেশ্বরী , কারওয়ানবাজার, বনশ্রী, বিজয় নগর, ওয়ারী, সেগুনবাগিচা ও নিকুঞ্জ এবং চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ, খুলশী , আগ্রাবাদ ও নাসিরাবাদ এলাকায় অবস্থিত অনধিক দুইশত বর্গমিটার পোতার আয়তন বিশিষ্ট বিল্ডিং বা আ্যাপার্টমেন্ট | প্রতি বর্গ মিটারে তিন হাজার টাকা |
৪ | ঢাকার ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা, ডিফেন্স অফিসার্স হাউজিং সোসাইটি (ডিওএইচএস), মহাখালি, লালমাটিয়া হাউজিং সোসাইটি, উত্তরা মডেল টাউন, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, সিদ্ধেশ্বরী , কারওয়ানবাজার, বনশ্রী, বিজয় নগর, ওয়ারী, সেগুনবাগিচা ও নিকুঞ্জ এবং চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ, খুলশী , আগ্রাবাদ ও নাসিরাবাদ এলাকায় অবস্থিত দুইশত বর্গমিটারের অধিক পোতার আয়তন বিশিষ্ট বিল্ডিং বা আ্যাপার্টমেন্ট | প্রতি বর্গ মিটারে তিন হাজার পাঁচ শত টাকা |
৫ | ক্রমিক নং ১, ২, ৩ ও ৪ এ উল্লিখিত এলাকা ব্যতীত সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অবস্থিত অনধিক একশত বিশ বর্গমিটার পোতার আয়তন বিশিষ্ট বিল্ডিং বা আ্যাপার্টমেন্ট | প্রতি বর্গ মিটারে সাত শত টাকা |
৬ | ক্রমিক নং ১, ২, ৩ ও ৪ এ উল্লিখিত এলাকা ব্যতীত সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অবস্থিত একশত বিশ বর্গমিটারের অধিক তবে অনধিক দুইশত বর্গমিটার পোতার আয়তন বিশিষ্ট বিল্ডিং বা আ্যাপার্টমেন্ট | প্রতি মিটারে আট শত পঞ্চাশ টাকা |
৭ | ক্রমিক নং ১, ২, ৩ ও ৪ এ উল্লিখিত এলাকা ব্যতীত সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অবস্থিত দুইশত বর্গমিটারের অধিক পোতার আয়তন বিশিষ্ট বিল্ডিং বা আ্যাপার্টমেন্ট | প্রতি বর্গ মিটারে এক হাজার তিন শত টাকা |
৮ | কোনো জেলা সদরের পৌরসভা এলাকায় অবস্থিত অনধিক একশত বিশ বর্গমিটার পোতার আয়তন বিশিষ্ট বিল্ডিং বা আ্যাপার্টমেন্ট | প্রতি বর্গ মিটারে তিন শত টাকা |
৯ | কোনো জেলা সদরের পৌরসভা এলাকায় অবস্থিত একশত বিশ বর্গমিটারের অধিক তবে অনধিক দুইশত বর্গমিটার পোতার আয়তন বিশিষ্ট বিল্ডিং বা আ্যাপার্টমেন্ট | প্রতি বর্গ মিটারে চার শত পঞ্চাশ টাকা |
১০ | কোনো জেলা সদরের পৌরসভা এলাকায় অবস্থিত দুইশত বর্গমিটারের অধিক পোতার আয়তন বিশিষ্ট বিল্ডিং বা আ্যাপার্টমেন্ট | প্রতি বর্গ মিটারে ছয় শত টাকা |
১১ | ক্রমিক নং ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯ ও ১০ এ উল্লিখিত এলাকা ব্যতীত অন্যকোনো এলাকায় অবস্থিত অনধিক একশত বিশ বর্গমিটার পোতার আয়তন বিশিষ্ট বিল্ডিং বা আ্যাপার্টমেন্ট | প্রতি বর্গ মিটারে দুই শত টাকা |
১২ | ক্রমিক নং ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯ ও ১০ এ উল্লিখিত এলাকা ব্যতীত অন্যকোনো এলাকায় অবস্থিত একশত বিশ বর্গমিটারের অধিক তবে অনধিক দুইশত বর্গমিটার পোতার আয়তন বিশিষ্ট বিল্ডিং বা আ্যাপার্টমেন্ট | প্রতি বর্গ মিটারে তিন শত টাকা |
১৩ | ক্রমিক নং ১, ২, ৩, 8, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯ ও ১০ এ উল্লিখিত এলাকা ব্যতীত অন্যকোনো এলাকায় অবস্থিত দুইশত বর্গমিটারের অধিক পোতার আয়তন বিশিষ্ট বিল্ডিং বা আ্যাপার্টমেন্ট | প্রতি বর্গ মিটারে পাঁচ শত টাকা |
টেবিল-৩
ক্রমিক নং | সম্পত্তির বর্ণনা | করহার |
---|---|---|
১ | নগদ, ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, আর্থিক ক্ষিম ও ইনস্ট্রমেন্টস (financial schemes and instruments), সকল প্রকার ডিপোজিট বা সেভিং ডিপোজিট, সেভিং ইনস্ট্রমেন্টস বা সার্টিফিকেট | মোট পরিমাণের দশ শতাংশ |
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ ত্যান্ড এক্সচেঞ্জ কর্তৃক অনুমোদিত এবং তালিকাভুক্ত কোম্পানির স্টক, শেয়ার, মিউটুয়াল ফান্ড ইউনিট, বন্ড, ডিবেঞ্চার ও অন্যান্য সিকিউরিটিজ, পুঁজিবাজারে ক্রয়বিক্রয়যোশ্য সকল সরকারি সিকিউরিটিজ ও বন্ড এবং যেকোনো প্রকার অগ্রিম ও খণ প্রদান আর্থিক ইনন্টুমেন্টস্ (financial instruments) হিসেবে প্রদর্শন করা যাবে।
উদাহরণ ১
জনাব নিয়াজ মোর্শেদ মিরপুরে ১০ শতক একটি জমি ২০১৫ সালে ক্রয় করেছিলেন। তিনি ২০১৯-২০২০ করবর্ষ পর্যন্ত দাখিলকৃত আয়কর রিটার্নে জমিটি প্রদর্শন করেননি। মিরপুরের জমিটি করদাতা ২০২০-২০২১ করবর্ষে ধারা 19AAAAA এর আওতায় কর পরিশোধ পূর্বক আয়কর রিটার্নে প্রদর্শন করতে পারবেন। ধারা 19AAAAA মোতাবেক কেবলমাত্র উক্ত জমির জন্য জনাব মোর্শেদের নিম্নরূপে কর পরিশোধ করতে হবে:
১০ শতক = ১০ X ৪০.৪৬৮৬ বর্গ মিটার
= ৪০৪.৬৮৬ বর্গ মিটার
ধারা 19AAAAA এর টেবিল-১ এর ক্রমিক নং ৩ অনুযায়ী মিরপুরের প্রতি বর্গ মিটার জমির জন্য ৫,০০০ টাকা কর পরিশোধ করতে হবে।
সুতরাং করের পরিমাণ হবে-
৪০৪.৬৮৬ X ৫,০০০ টাকা = ২০,২৩,৪৩০ টাকা
উদাহরণ ২
জনাব আলাউদ্দিন আহমেদ ২০০৭ সালে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ২০০ বর্গ মিটার পোতার আয়তনের (plinth area) একটি ত্যাপার্টমেন্ট ক্রয় করেছিলেন। তিনি ২০১৯-২০২০ করবর্ষ পর্যন্ত দাখিলকৃত আয়কর রিটার্নে উক্ত আ্যাপার্টমেন্ট প্রদর্শন করেননি। বরিশাল সিটি কর্পোরশনের আ্যাপার্টমেন্টটি করদাতা ২০২০-২০২১ কর বছরে ধারা 19AAAAA এর আওতায় কর পরিশোধ পূর্বক আয়কর রিটার্নে প্রদর্শন করতে পারবেন। ধারা 19AAAAA মোতাবেক কেবলমাত্র উক্ত ত্যাপার্টমেন্টের জন্য জনাব আহমেদের নিম্নরুপ কর পরিশোধ করতে হবে:
ধারা 19AAAAA এর টেবিল-২ এর ক্রমিক নং ৬ অনুযায়ী একশত বিশ বর্গমিটারের অধিক তবে অনধিক দুইশত বর্গমিটার পোতার আয়তন বিশিষ্ট বিল্ডিং বা আ্যাপার্টমেন্ট এর জন্য প্রতি বর্গ মিটারে আট শত পঞ্চাশ টাকা হারে কর পরিশোধ করতে হবে। সুতরাং করের পরিমাণ হবে-
২০০ X ৮৫০ টাকা=১,৭০,০০০ টাকা